খবরি’র কাছ থেকে এল একেবারে পাক্কা ইনফরমেশন। তাড়াতাড়ি অপরাধীদের ধরতে বেরিয়ে পড়ল পুলিশ। রাস্তায় দেখা হতেই সংঘর্ষ। আজ প্রায় বলিউডি চিত্রনাট্যের মতোই টানটান উত্তেজনার সাক্ষী থাকল রাজধানীর রাস্তা।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিক্রমজিৎ সিংহ জানান, এক দল অপরাধী দিল্লির এক নির্মাণ ব্যবসায়ীর উপরে হামলা করতে যাচ্ছে বলে জানতে পেরেছিলেন তাঁরা। ওই অপরাধীদের পাকড়াও করতে রওনা হয় পুলিশের দল। পূর্ব দিল্লির রোহিণী এলাকায় বেগমপুর চেকপোস্টের কাছে অপরাধীদের গাড়িটি আটকায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় তারা। শুরু হয় সংঘর্ষ।
প্রায় এক ঘণ্টা লড়াই চলার পরে সঞ্জয়, ফরমান, সানি, সুধীর ও বিজয় নামে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রদীপ নামে এক কনস্টেবল। ঘায়েল হয়েছে দুই দুষ্কৃতীও।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ জনের এই দলটিকে বেশ কিছু দিন ধরেই খুঁজছিলেন গোয়েন্দারা। পুলিশ শিবিরে ‘গ্যাং অব ফাইভ’ নামে পরিচিতও হয়ে গিয়েছিল তারা। নির্মাণ ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে তোলা আদায়ের কাজে সিদ্ধহস্ত এই দলটিকে ধরার জন্য আগেও ফাঁদ পাতা হয়েছিল। তবে তখন কোনও ভাবে সেই ফাঁদ এড়িয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা।
দিল্লি পুলিশের অফিসাররা জানাচ্ছেন, রাজধানীর উপকণ্ঠে বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগাযোগ নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। অনেক ক্ষেত্রেই এই দুষ্কৃতীদের রাজনৈতিক যোগও রয়েছে। এই প্রসঙ্গেই ফের উঠে আসছে দিল্লি পুলিশের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি। দিল্লি পুলিশ এখনও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের বিবাদের ফলে তাঁদের কাজ ব্যাহত হয় বলেই দাবি অফিসারদের। সম্প্রতি দিল্লির কাছেই আক্রান্ত হন বিজেপি নেতা ব্রিজপাল টেওটিয়া। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই হামলা চালানো হয়েছিল বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। কিন্তু যে ভাবে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ১০০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল তাতে উদ্বিগ্ন দিল্লি পুলিশও।