মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি সামলাতে এ বার কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হবে, রবিবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তাঁর বক্তব্য, যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে এই মুহূর্তে দিল্লির হাসপাতালগুলির ৯০ শতাংশ আইসিইউ ভর্তি, অক্সিজেনের অভাব বেড়েই চলেছে, তার উপর বাড়ন্ত জীবনদায়ী ওষুধ। করোনা দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে এতদিন হিমশিম খাচ্ছিল দিল্লি, এ বার রীতিমতো হাহাকার দেখা দিল রাজধানীতে। পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত কেরজীবাল।
রবিবার এক জরুরি বৈঠক শেষে কেজরীবাল বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। গত কয়েক দিন আগেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। অথচ এখন সব কিছুই যেন বাড়ন্ত। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, কেউ জানে না এর শেষ কোথায় হবে।’’ সঙ্গে সংযোজন, ‘‘প্রত্যেক রাজ্যেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর একটা সীমাবদ্ধতা থাকে। সরকার হাসপাতালের বেড বাড়ানোর চেষ্টা করছে। পরবর্তী চার় দিনে আরও ৬ হাজার বেড বাড়ানো হবে।’’
করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা কী ভাবে দেওয়া যাবে তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। রবিবার সকালে জরুরি বৈঠক ডাকেন তিনি। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সতেন্দ্র জৈনও বৈঠকে হাজির ছিলেন। আপাতত হাসপাতালের অভাব কিছুটা মেটাতে কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজ এবং কিছু স্কুলকে জরুরিকালীন কোভিড হাসপাতালে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু তাতে কি সমস্যার সমাধান সম্ভব? হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করা গেলেও অক্সিজেন এবং ওষুধের জোগান কী ভাবে করা যাবে, সে প্রশ্নের উত্তরে এখনও সন্দিহান তাঁরা। কেন্দ্রের কাছে এগুলির সরবরাহ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, দিল্লির পরিস্থিতি এতটাই করুণ যে সমস্ত হাসপাতাল মিলিয়ে ৯০ শতাংশ আইসিইউ করোনা রোগীতেই ভর্তি। হাসপাতালের জেনারেল বেডও আর ফাঁকা নেই বললেই চলে। হাসপাতালের বাইরের ওষুধ দোকান হোক কিংবা বেসরকারি কোনও অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহকারী সংস্থা—কারও কাছেই জীবনদায়ী ওষুধ এবং অক্সিজেন নেই।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ২৪ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনের। দিল্লির ২৪ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন কেজরীবাল। এর অর্থ রাজধানীতে প্রতি ৪ জনে একজন করোনা আক্রান্ত। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বলে জানিয়েছেন তিনি।