Coronavirus in India

‘বয়স কম বলেই মৃত্যু কম ভারতে’

শুরু থেকেই ভারতে মৃত্যুহার কম রয়েছে বলে দাবি করছিল মোদী সরকার।

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০৪:১০
Share:

ছবি এপি।

দেশবাসীর গড় বয়স কম হওয়াই রুখে দিচ্ছে মৃত্যুকে। উন্নত বিশ্বের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট কম বলেই মনে করছে কেন্দ্র। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের মৃত্যুর হার তুলনা করে দেশবাসীর গড় বয়স কম হওয়াই এর কারণ বলে জানিয়েছে নীতি আয়োগ

Advertisement

আজ গোটা দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮২৩ জন। সব মিলিয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৩,৬১০। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, লকডাউনের আগে যেখানে ৩.৪ দিনে দেশে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, এখন সেই সময়সীমা বেড়ে হয়েছে ১১ দিন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৬৭ জন মারা যাওয়ায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭৫। যার মধ্যে ৬৫ শতাংশই পুরুষ। মহারাষ্ট্রে মোট সং‌ক্রমণ আজ ১০ হাজার পেরিয়েছে।

শুরু থেকেই ভারতে মৃত্যুহার কম রয়েছে বলে দাবি করছিল মোদী সরকার। এ বার অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে নীতি আয়োগ জানিয়েছে, এ দেশে যখন হাজার রোগী মারা যান, তখন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার। সেখানে ইটালি, বেলজিয়ামের ক্ষেত্রে ওই হার প্রায় দ্বিগুণ। ওই দুই দেশে ১৫ হাজার রোগী করোনায় আক্রান্ত হতেই মৃত্যুসংখ্যা হাজার ছাপিয়েছিল। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ১৭ হাজারের সামান্য বেশি। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের মতে, এর অন্যতম কারণ হল এ দেশের মানুষের গড় বয়স কম। তারই সুফল পাচ্ছে ভারত। ভারতে জনসাধারণের গড় বয়স ২৭.৯ বছর, সেখানে ইটালির গড় বয়স ৪৫.৫। জার্মানির ৪৭.৪, ব্রিটেনের ৪০.১ ও বেলজিয়ামের ৪১.৮। কান্তের মতে, দেশে ও বিদেশে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার বেশি। শুরু থেকেই তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রক বয়স্কদের জন্য বিশেষ সাবধানতার পরামর্শ দিয়ে এসেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভিন্নরাজ্য থেকে বাসে শ্রমিকদের ফেরাতে আপত্তি

মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল আজ বলেন, বয়স্ক ব্যক্তিদের যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বিটিস, কিডনি বা হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা থাকে তা হলে করোনা মারণ রূপ নেয়। সেই কারণে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪৫ বছরের নীচে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুহার ১৪ শতাংশ। একই ভাবে যাঁদের বয়স ৪৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে, তাঁদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার ৩৪.৮ শতাংশ। আর ষাটের উপরে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৫১.২ শতাংশ। মন্ত্রক জানিয়েছে, বেশি বয়সের অধিকাংশ করোনা আক্রান্তদের একাধিক রোগে ভোগার ইতিহাস থাকে। শরীরে করোনার উপস্থিতি এঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিগড়ে দিয়ে একাধিক অঙ্গ বিকল করে দেয়।

দ্বিতীয় দফা লকডাউনের শেষের মুখে মুম্বই, পুণে, ইনদওর, দিল্লি, আমদাবাদ, হায়দরাবাদ, জয়পুর নিয়ে চিন্তিত মন্ত্রক। এগুলি উচ্চ সংক্রমিত জেলা হিসেবে চিহ্নিত। যে ভাবে কলকাতা ও শহরতলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেটাও উদ্বেগের। ওই এলাকাগুলিতে তাই প্রথাগত আরটি পিসিআর পরীক্ষা বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। মন্ত্রক জানিয়েছে, গত কাল গোটা দেশে ৬৮,৬৮০টি পরীক্ষা হয়েছিল। আগামী এক মাসের মধ্যে যা বাড়িয়ে রোজ এক লক্ষ পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন