ফাইল চিত্র।
দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী গত কালই ১৬ লক্ষ পেরিয়েছিল। আজ সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানেও তা ওই অঙ্ক পেরোল। তবে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট মৃত্যুর নিরিখে আজ বিশ্বের পঞ্চম স্থানে উঠে এল ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭৯ জনের মৃত্যুতে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫,৭৪৭। মোট মৃত্যুর হিসেবে প্রথম চারটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আমেরিকা, ব্রাজিল, ব্রিটেন এবং মেক্সিকো।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা ৫৫,০৭৮। এই প্রথম সংখ্যাটা ৫৫ হাজার পেরোল। ফলে সরকারি হিসেবে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬.৩৮ লক্ষ। অ্যাক্টিভ রোগী ৫.৪৫,৩১৮ জন। কেন্দ্রের বক্তব্য, করোনা পরীক্ষার রেকর্ড হচ্ছে রোজ। গত কাল ৬.২৪ লক্ষ পরীক্ষা হয়েছে। ফলে সংক্রমণও ধরা পড়েছে বেশি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যত সংখ্যক পরীক্ষা হয়েছে, সেই তুলনায় নমুনা পজ়িটিভ হওয়ার হার কমছে, যা ভাল লক্ষণ।
কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন আজ বলেন, ‘‘সারা দেশে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন। সুস্থের সংখ্যাটা এখন ১০,৫৭,৮০৫। সব মিলিয়ে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। সুস্থতার হার পৌঁছে গিয়েছে ৬৪.৫৪ শতাংশে। মৃত্যুহার কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ২.১৮-এ। রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ২১ দিনে।’’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ০.২৭ শতাংশ রোগী ভেন্টিলেটরে এবং ১.৫৮ শতাংশ রোগী আইসিইউ-এ রয়েছেন। অক্সিজেন লাগছে মাত্র ২.২৮ শতাংশের।
তবে এই কথাও ঠিক যে, লকডাউন ওঠার পরে সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় আজ সন্ধ্যায় ভারতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬.৬৯ লক্ষ। একটি সমীক্ষা বলছে, মোট সংক্রমণের ৬০ শতাংশ ও ৫০ শতাংশেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে শুধু জুলাইয়ে। গত বুধবারই ‘আনলক ৩’ সংক্রান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আনলকের অঙ্গ হিসেবেই আগামিকাল থেকে হোটেল ও সাপ্তাহিক বাজারগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লির অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। কিন্তু উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল আজ তা খারিজ করে দিয়েছেন। সূত্রের দাবি, দিল্লির করোনা পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট সংবেদনশীল রয়েছে বলেই মনে করছেন উপরাজ্যপাল। এই প্রসঙ্গে আম আদমি পার্টির মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা বলেছেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত দিল্লি সরকারের কর্তৃত্ব খর্ব করে এবং দিল্লিবাসীর যন্ত্রণা বাড়িয়ে বিকৃত আনন্দ পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।’’ দিল্লিতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১.৩৪ লক্ষ। আগামিকাল থেকে রাজধানীতে আবার ৫ দিন ধরে সেরো-সার্ভে চলবে বলে সরকার জানিয়েছে।