Coronavirus update

দেশে মোট আক্রান্ত ১৯ লক্ষ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ প্রায় ৫২ হাজার

গতকালের থেকে একটু বাড়লেও দশ শতাংশের নীচেই রয়েছে এই হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ৮.৪৭ শতাংশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২০ ১০:৩৫
Share:

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫২ হাজার ৫০৯ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ছাড়াল। যদিও দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা গত তিন দিন ধরেই ৫২ হাজারের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ রয়েছে। গত দু’দিনে কমেছে সংক্রমণ হার। মঙ্গলবারের থেকে একটু বেশি হলেও দশ শতাংশের নীচেই রয়েছে তা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ছ’লক্ষেরও বেশি। সেই সঙ্গে এক দিনে ৫১ হাজারেরেও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৫০৯ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে আমেরিকা ও ব্রাজিলে ওই সময়ের মধ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৫৬ হাজার ৭৭৩ ও ৫১ হাজার ৬০৩। এই বৃদ্ধির জেরে ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ১৯ লক্ষ আট হাজার ২৫৪ জন। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ২৮ লক্ষ ও প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে ৪৭ লক্ষ ৭০ হাজার।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। মঙ্গলবার তা নেমেছিল আট শতাংশের নীচে। গতকালের থেকে একটু বাড়লেও দশ শতাংশের নীচেই রয়েছে এই হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ৮.৪৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ছ’লক্ষ ১৯ হাজার ৬৫২ জনের।

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, ভারতে করোনা রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটাও বেশ স্বস্তিদায়ক। এখনও পর্যন্ত মোট ১২ লক্ষ ৮২ হাজার ২১৫ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের প্রায় ৬৭ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৭০৬ জন।

মৃত্যুর নিরিখে স্পেন, ফ্রান্স, ইটালিকে পিছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। যদিও মৃত্যুর হার ওই সব দেশগুলির তুলনায় ভারতে অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৮৫৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৩৯ হাজার ৭৯৫ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১৬ হাজার ১৪২ জন। দিল্লিকে পিছনে ফেলে মৃত্যু তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট মৃত চার হাজার ৩৪৯ জন। রাজধানীতে সেই সংখ্যাটা চার হাজার ৩৩ জন।

জুলাই জুড়েই মৃত্যু বেড়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে কর্নাটক। সেখানে কোভিডের কারণে এখনও অবধি দু’হাজার ৭০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাতে দু’হাজার ৫৩৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। উত্তরপ্রদেশ (১,৮১৭), পশ্চিমবঙ্গ (১,৭৮৫) ও অন্ধ্রপ্রদেশে (১,৬০৪) মৃতের সংখ্যা রোজদিন বেড়েই চলেছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৯১২), রাজস্থান (৭৩২), তেলঙ্গানা (৫৭৬), পঞ্জাব (৪৬২), হরিয়ানা (৪৪৮), জম্মু ও কাশ্মীর (৪১৭), বিহার (৩৪৭), ওড়িশা (২১৬) ও ঝাড়খণ্ড (১২৮)। বাকি রাজ্যগুলিতে মৃতের সংখ্যা এখনও ১০০ পেরোয়নি।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

শুরু থেকেই মহারাষ্ট্র সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে। সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত চার লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৫৬ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত দু’লক্ষ ৬৮ হাজার ২৮৫ জন। সংক্রমণ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানে এখন মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৩৩ জন। তবে জুলাই জুড়েই রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বেশ খানিকটা লাগাম পড়েছে। এখন সেখানে দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধি এক হাজারের নীচে নেমে গিয়েছে। রাজধানীতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লক্ষ ৩৯ হাজার ১৫৬ জন। সংক্রমণের নিরিখে দিল্লিকে পিছনে ফেলে চতুর্থ স্থানে উঠে এল কর্নাটক। সেখানে মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৩০ জন। উত্তরপ্রদেশে মোট আক্রান্ত আজ এক লক্ষ পেরলো।

পশ্চিমবঙ্গ (৮০,৯৮৪), তেলঙ্গানা (৭০,৯৫৮), গুজরাত (৬৫,৫৯৯) ও বিহারে (৬১,৭৮৮) আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি দিন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে অসম (৪৮,১৬১), রাজস্থান (৪৬,৬৭৯), হরিয়ানা (৩৭,৭৯৬), ওড়িশা (৩৭,৬৮১), মধ্যপ্রদেশ (৩৫,০৮২), কেরল (২৭,৯৫৬), জম্মু ও কাশ্মীর (২২,৩৯৬), পঞ্জাব (১৯,০১৫), ঝাড়খণ্ড (১৩,৯৪০) ও ছত্তীসগঢ় (১০,২০২)। উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে মোট আক্রান্ত এখনও দশ হাজারের কম।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

পশ্চিমবঙ্গেও রোজদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে, নতুন করে দু’হাজার ৭৫২ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৮০ হাজার ৯৮৪ জন। সঙ্গে ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে মৃত্যুতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। করোনার কবলে পড়ে রাজ্যে প্রাণ হারালেন মোট এক হাজার ৭৮৫ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন