Coronavirus

গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি, দেশের সবাই টিকা পাবেন, আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

রাজ্য, জেলা এবং স্থানীয় স্তরে থাকবে নির্দিষ্ট দল। টিকার বিতরণ, প্রয়োগ এবং ব্যবস্থাপনার তদারকি করবে এই দলগুলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ১১:৫০
Share:

দেশের সব নাগরিককে টিকার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। —ফাইল চিত্র

তিন দিন আগে বলেছিলেন কেন্দ্রীয় পশুপালন প্রতিমন্ত্রী প্রতাপ ষড়ঙ্গী। এ বার একই আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের সব নাগরিককে টিকা দেওয়া হবে, কেউ বাদ পড়বেন না, জানালেন নরেন্দ্র মোদী। তবে অবশ্যই সবচেয়ে আগে দেওয়া হবে স্পর্শকাতর এবং সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের। টিকার পুরো ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় একটি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

২ নভেম্বর থেকে টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ব্রিটেনের একটি হাসপাতালকে। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা ওই দিন থেকেই সাধারণ মানুষকে দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। আবার ফাইজার সম্প্রতি জানিয়েছে, এ বছরের মধ্যেই তাঁদের টিকাও বাজারে চলে আসার সম্ভাবনা। ভারতেও অক্সফোর্ডের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। এ ছাড়া দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দু’টি টিকার পরীক্ষানিরীক্ষাও শেষের দিকে। এমন পরিস্থিতিতে টিকা পাওয়া গেলেই কী ভাবে তার প্রয়োগ করা যাবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে সরকার।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারেও সে কথাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, টিকা পাওয়া গেলেই সবাইকে তা দেওয়া হবে। কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না।’’ তবে সেটা যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সে কথাও এ দিন জানিয়েছেন মোদী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অবশ্যই প্রথম দিকে আমাদের নজর থাকবে স্পর্শকাতর মানুষ এবং সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের দিকে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: দেশে ফের কোভিড সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, টানা বাড়ছে সুস্থতার হারও

করোনা বেশি প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে আক্রান্তের কো-মর্বিডিটি থাকলে। আর প্রবীণদের ক্ষেত্রেই সাধারণত কো-মর্বিডিটি বেশি থাকে। অন্য দিকে সামনের সারির যোদ্ধারা হলেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতালের কর্মী, পুলিশ, দাহকর্মীদের মতো যাঁরা বেশি করে করোনা সংক্রমিত বা মৃতদের সংস্পর্শে আসেন। টিকা দেওয়ার তালিকায় প্রবীণ মানুষ এবং এই যোদ্ধারা অগ্রাধিকার পাবেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় তা স্পষ্ট। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও বিষয়টি আগেই জানিয়েছে।

কিন্তু ভারতের মতো ১৩০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশে প্রতিটি মানুষকে টিকা দিতে গেলে তার জন্য কী বিপুল কর্মযজ্ঞ ও পরিকাঠামোর প্রয়োজন, তা সহজেই অনুমেয়। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, ‘‘কোভিড টিকার পুরো ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে কেন্দ্র।’’ কোন রাজ্যে কখন টিকা দেওয়া হবে, কোথায় সংরক্ষণ করা হবে, কারা অগ্রাধিকার পাবেন— এই সমস্ত বিষয় নির্ধারণ করবে ওই কমিটি।

আরও পড়ুন: এক ডজন জেলায় ঊর্ধ্বমুখী মৃত-আক্রান্তের পরিসংখ্যান

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘পরিকাঠামোর দিক থেকে দেখতে গেলে ২৮ হাজারেরও বেশি কোল্ড চেন-এ কোভিড টিকা সংরক্ষণ করা হবে। সেখান থেকে টিকাকেন্দ্রে পৌঁছনো হবে। রাজ্য, জেলা এবং স্থানীয় স্তরে থাকবে নির্দিষ্ট দল। টিকার বিতরণ, প্রয়োগ এবং ব্যবস্থাপনা ঠিক পদ্ধতিতে হচ্ছে কি না, তার তদারকি করবে এই দলগুলি।’’

কবে টিকা বাজারে আসবে, সে বিষয়ে অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণের কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী। এই মুহূর্তে সেটা বলা সম্ভবও নয়। তবে তিনি জানিয়েছন, একাধিক টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। সব স্তর পেরিয়ে সাধারণ মানুষের উপর প্রয়োগের ছাড়পত্র পেলেই টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন