Coronavirus

দ্বিতীয় বার সংক্রমণের প্রথম নজির বেঙ্গালুরুতে, কী বলছেন চিকিৎসকরা

জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ওই মহিলা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

রবিবারই দিল্লি এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, দেশের কোথাও কোথাও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আর সেই দিনই বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল শহরে। যা বেঙ্গালুরুতে প্রথম। ২৭ বছরের ওই মহিলা জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। রবিবার ফের তাঁর কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন।

Advertisement

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা প্রথম বার করোনা আক্রান্ত হলেও তাঁর শরীরে প্রয়োজনীয় ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। সেই কারণেই দ্বিতীয় বার সংক্রমিত হয়েছেন। তবে এটাই স্বাভাবিক ট্রেন্ড, এমনটা এখনই মানতে রাজি নন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের একাংশের মত, এটা ব্যাতিক্রমী ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বেঙ্গালুরুর ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই মহিলা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট মিলেছিল। সেই মতো তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ফের তিনি করোনার উপসর্গ লক্ষ করেন। হাসপাতালে পরীক্ষার পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে দেশের কিছু অংশে, মত এমস ডিরেক্টরের

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ৯০ হাজারের বেশি, তবে স্বস্তি দিয়ে দেশে সুস্থতাও সর্বোচ্চ

এটাই সম্ভবত বেঙ্গালুরুতে প্রথম এমন ঘটনা, যেখানে দ্বিতীয়বার কেউ আক্রান্ত হলেন বলে মন্তব্য করেছেন হাসপাতালের সংক্রামক রোগ সংক্রান্ত পরামর্শদাতা চিকিৎসক প্রতীক পাটিল।বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘সাধারণত করোনা সংক্রমণ হলে তাঁর শরীরে কোভিড ইমিউনোগ্লোবিউলিন জি-অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ২-৩ সপ্তাহ পরে এই জি-অ্যান্টিবডি টেস্টের ফল পজিটিভ আসে। তার অর্থ আক্রান্তের শরীরে করোনারোধী কোষ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই রোগীর ক্ষেত্রে সেই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। এর অর্থ প্রথমবার সংক্রমণে তাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। অন্য সম্ভাবনা হতে পারে, অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও দ্রুত তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

অর্থাৎ, দ্বিতীয় বার সংক্রমণের অর্থ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি এমন হতে পারে। অথবা তৈরি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ফলে ভাইরাস দ্বিতীয় বার শরীরে সংক্রমণের সুযোগ পেয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন