করোনাভাইরাসের জেরে সারা ভারতই এখন প্রায় ঘরবন্দি। অফিসযাত্রীরাও বেশির ভাগই বাড়ি থেকে কাজ সারছেন। সংক্রমণ আটকাতে কী কী সুরক্ষা নিতে হবে, দিনরাত তার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
এর মাঝেই বাসিন্দাদের সুরক্ষা দিতে কড়া পদক্ষেপ নিল এ দেশেরই কিছু হাউসিং কমপ্লেক্স।
স্যানিটাইজার, মাস্ক-এর পাশাপাশি কোনও কোনও কমপ্লেক্স আবার নিয়ম না মানলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার কথাও ঘোষণা করেছে।
আমদাবাদ, বেঙ্গালুরু, মুম্বই— এই শহরগুলোর প্রায় সব ছোট-বড় হাউসিং কমপ্লেক্স ভাল সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে।
যেমন, কমপ্লেক্সগুলোর ম্যানেজিং কমিটি প্রতিটা বাসিন্দার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। সমস্ত সুরক্ষার বিষয়গুলো প্রতি দিন সেই সমস্ত গ্রুপে আপডেট দেন তাঁরা।
বেশির ভাগ বড় বড় কমপ্লেক্সের মূল প্রবেশদ্বারে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের যন্ত্র লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাইরের কেউ কমপ্লেক্সে ঢুকতে এলেই তাঁকে পরীক্ষা করিয়ে হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে তার পর প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
কমপ্লেক্সের সমস্ত কমিউনিটি সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কমপ্লেক্সের ভিতরে একসঙ্গে জমায়েত করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে সবচেয়ে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে মুম্বইয়ের একটা বহুতল। নিয়মের হেরফের করলেই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করেছে তারা।
মুম্বইয়ের ওই বহুতলের এক বাসিন্দা যেমন জানিয়েছেন, এই সময় অনেকেই বিদেশ থেকে ফিরে আসছেন। এই সমস্ত বাসিন্দাদের অন্তত ১৪ দিন গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ওই বহুতলের বিদেশ ফেরত কোনও বাসিন্দা যদি তা মানতে না চান বা না মানেন, তা হলে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে, জানিয়ে দিয়েছে মুম্বইয়ের ওই বহুতলের ম্যনেজিং কমিটি।
লিফ্ট থেকেও যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তাই, লিফ্টের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া সুইচে আর কারও হাত দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তারক্ষীও সব সময় মাস্ক পরে থাকছেন।