Coronavirus in India

করোনা-যুদ্ধে সফল প্রসূতি বিভাগ

শিলচর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে করোনাভাইরাস প্রথম আক্রমণ করে ২১ জুলাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-পর্বে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে মোট ১৩৪৯ জন প্রসূতি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তার মধ্যে ১১৫ জন করোনা পজ়িটিভ প্রসূতি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সদ্যোজাতরাও মায়ের সঙ্গে আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকে, সংক্রমিত মায়ের দুধ পান করে। তাদের ৯২ শতাংশকে করোনা ছুঁতে পারেনি। তবে ১০টি শিশু জন্মের পরই সংক্রমিত হয়ে পড়েছিল। তারা সকলেই অতিমারির সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

Advertisement

শিলচর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে করোনাভাইরাস প্রথম আক্রমণ করে ২১ জুলাই। কিছু দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই কাজ করতে থাকেন চিকিৎসক, নার্স-সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা। টানাহেঁচড়ায় প্রসূতিদের সমস্যা বাড়তে পারে, এই ভেবে প্রসূতি বিভাগেই আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়। কোভিডে আক্রান্ত মা ও তাঁদের সদ্যোজাতদের সেখানেই রাখা হয়।

মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ভাস্কর গুপ্ত জানান, এ পর্যন্ত ১৩৫ জন প্রসূতি কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের ১১৫ জন ইতিমধ্যেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাঁদের ৪৭ জনের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। তাঁদের ৪ জনের মৃত সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। করোনার কাছে হার মেনেছেন মাত্র দুই প্রসূতি।

Advertisement

এই পরিসংখ্যানকে সাফল্যের নজির বলেই উল্লেখ করেন ভাস্করবাবু। তাঁর কথায়, “করোনা আক্রান্ত প্রসূতিদের লেবার-টেবিলে তোলা, প্রসব করানো, ৪০ শতাংশের ‘সিজ়ারিয়ান’ করা সহজ কাজ ছিল না। প্রশাসনিক কর্তারাও এ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক-কর্মীরা তাঁদের যথাসাধ্য করে গিয়েছেন সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে। সারাক্ষণ পিপিই কিট পরে তাঁরা এতটাই সতর্ক ছিলেন যে, কোভিড চিকিৎসা করতে গিয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডে ডাক্তার-নার্সরা সংক্রমিত হয়ে পড়লেও প্রসূতি বিভাগে এমন ঘটনা একটিও ঘটেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন