National News

করোনার বিনাশে মন্দিরের ভিতরে ‘নরবলি’ দিলেন ওড়িশার পুরোহিত!

পুলিশের দাবি, থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন সংসারী ওঝা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ১৯:১৫
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

অতিমারি করোনাভাইরাসের বিনাশে দেবতাকে তুষ্ট করতে হবে। তার জন্য চাই নরবলি। এমনটাই নাকি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। সেই আদেশ মতো মন্দির ভিতরেই কুড়ুল দিয়ে এক ব্যক্তির মাথা কেটে বলি দিলেন পুরোহিত। ওড়িশার কটকে এক স্থানীয় মন্দিরের বৃদ্ধ পুরোহিতের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটছে নরসিংহপুর থানা এলাকায় বাঁধহুদা গ্রামের কাছে একটি স্থানীয় মন্দিরে। ওই মন্দিরের ৭২ বছরের পুরোহিত সংসারী ওঝার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃতের নাম সরোজকুমার প্রধান (৫২)।

পুলিশের দাবি, এ দিন সকালে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন সংসারী ওঝা। তবে তদন্তকারীদের কাছে তাঁর দাবি, করোনাভাইরাসকে বিনাশ করতে মন্দিরের দেবীর কাছ থেকে নরবলির স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশ মেনেই সরোজকে বলি দিয়েছেন। তবে এই দাবি মানতে নারাজ এলাকার স্থানীয়রা। তাঁদের পাল্টা দাবি, সরোজের সঙ্গে ওই গ্রামের একটি আমবাগান নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিবাদ চলছিল ওই পুরোহিতের। সেই আক্রোশেই এ কাজ করে থাকতে পারেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাবাকে ফেরাতে ১২০০ কিলোমিটার সাইকেলে, ‘সুপার ৩০’-র অফার পেল বিহারের কিশোরী

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে সরোজের সঙ্গে নরবলি নিয়েই ঝগড়াঝাঁটি হয় বলে জানিয়েছেন সংসারী ওঝা। তর্কাতর্কির সময় একটি কু়ড়ুল দিয়ে সরোজের মাথায় আঘাত করেন তিনি। কুড়ুলের ঘায়ে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন সরোজ। এর রাত পেরোলে পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সংসারী।

আরও পড়ুন: পরিবারের ৪ সদস্যকে দিল্লি পাঠাতে ১৮০ আসনের বিমান ভাড়া ব্যবসায়ীর

কটকের ডিআইজি (সেন্ট্রাল রেঞ্জ) আশিসকুমার সিংহ জানিয়েছেন, সরোজের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ঘটনার সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন সংসারী ওঝা। পরের দিন সকালে তাঁর হুঁশ ফিরলে পুলিশের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন সংসারী।’’

ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে ওড়িশায়। অভিযুক্তের চরম শাস্তির দাবি করেছেন অনেকে। ওই রাজ্যের এক সমাজকর্মী সত্যপ্রকাশ পতি বলেন, ‘‘একবিংশ শতকেও যে মানুষ এ ধরনের বর্বর কাজে বিশ্বাস করে, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। দোষীর কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন