Coronavirus in India

টিকা পরীক্ষা বন্ধ সিরামের

ব্রিটেনে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত মঙ্গলবার ওই দেশে তাদের পরীক্ষা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

ব্রিটেনের মতো ভারতেও ‘কোভিশিল্ড’ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হল বলে জানাল সিরাম ইনস্টিটিউট

Advertisement

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা-প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের ভারতে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দায়িত্বে ছিল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। কিন্তু ব্রিটেনে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত মঙ্গলবার ওই দেশে তাদের পরীক্ষা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ফলে প্রশ্ন উঠেছিল, ভারতে ওই টিকার মানবদেহে প্রয়োগের ভবিষ্যৎ কী হবে? গত কাল প্রথমে সিরাম ওই পরীক্ষা ভারতে চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও রাতে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) শো-কজ নোটিস দিয়ে জানতে চায়, ব্রিটেনে এক ব্যক্তি অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও কেন তারা পরীক্ষা চালিয়ে যেতে চাইছে? ওই চিঠি পাওয়ার পরেই অবস্থান পরিবর্তন করে সিরাম।

পুণের সংস্থাটি আজ জানিয়েছে, যত দিন অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকার প্রয়োগ নতুন করে শুরু না-করছে, তত দিন ভারতেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। ডিসিজিআই-এর নির্দেশ মেনেই সিরাম কাজ করবে। প্রয়োগ নিয়ে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। গোটা ঘটনায় এই বছরের শেষের মধ্যে কোভিশিল্ড বাজারে ছাড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা সিরাম নিয়েছিল, তা অনেকাংশেই ক্ষীণ হয়ে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও পাস্কাল সরিয়ট অবশ্য বলেছেন, ‘‘চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে আমরা টিকা আনতে পারব বলে এখনও আশা করছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বেজিংকে বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর, বায়ুসেনায় রাফালের যোগ, চুপ প্রধানমন্ত্রী​

আরও পড়ুন: মস্কোয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ।। আগে সেনা সরাক চিন: জয়শঙ্কর

কোভিশিল্ড প্রতিষেধক মানবদেহে প্রয়োগের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ নির্বিঘ্নে পার হওয়ার পরে ব্রিটেন, আমেরিকা, ব্রাজিল-সহ বেশ কিছু দেশে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতেও এই সপ্তাহ থেকে মানবদেহে প্রতিষেধকটির দ্বিতীয়/তৃতীয় পর্যায়ের প্রয়োগ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তারা সাময়িক ভাবে ব্রিটেনে ওই প্রয়োগ বন্ধ রাখছে। আজ সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা গোটা বিশ্বেই ওই প্রতিষেধকের প্রয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবকের কী সমস্যা হয়েছে, তা নিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা নীরব হলেও মার্কিন সংবাদমাধ্যমের মতে, প্রতিষেধক-প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকের ‘ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস’ হয়েছে। সাধারণত কোনও সংক্রমণের কারণে স্নায়ুজনিত এই সমস্যা দেখা যায়।

প্রশ্ন উঠেছে, ব্রিটেনে স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হওয়ার পরেও কেন ভারতে ওই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে বদ্ধপরিকর ছিল সিরাম! এই সিদ্ধান্ত আদৌ যুক্তিসঙ্গত ছিল কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন