Corona

সবার জন্য প্রতিষেধক নাকি খুড়োর কল!

পশ্চিমবঙ্গে বুধবার ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের প্রতিষেধক দেওয়া আদৌ শুরু করা যাবে কি না, কী ভাবে তা কেনা হবে, এই সমস্ত বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি এবং কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২১ ০৫:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাঝে আর মাত্র তিন দিন। ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই প্রতিষেধক নিতে পারবেন বলে ঘোষণা করে দিয়েছে মোদী সরকার। বুধবার (২৮ এপ্রিল) থেকে তার জন্য নামও নথিভুক্ত করা যাবে কোউইন পোর্টাল এবং আরোগ্য সেতু অ্যাপে। কিন্তু এই কমবয়সিদের জন্য প্রতিষেধক ১ মে থেকেই আদৌ মিলবে কি না, এখনও বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন ঝুলছে তার উপরে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে বুধবার ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের প্রতিষেধক দেওয়া আদৌ শুরু করা যাবে কি না, কী ভাবে তা কেনা হবে, এই সমস্ত বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়-সহ বিভিন্ন রাজ্য জানিয়েছে, ১৫-২০ মে-র আগে প্রতিষেধক হাতে পাওয়া কঠিন বলে মেনে নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার প্রতিষেধক কোভিশিল্ড নির্মাতা সিরাম। সূত্রের খবর, বেসরকারি হাসপাতালে তা আসতে দেরি হতে পারে আরও। ফলে, ভোট-বাজারে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণার পরে এখন টিকা প্রাপ্তির এই ক্ষীণ সম্ভাবনাকে সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’-এর সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সরকার প্রতিষেধক কিনতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারী সিরাম ও ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু কী ভাবে তা কেনা হবে কিংবা কতটা কেনা যাবে, সেই সমস্ত বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালও তিমিরে। তার উপরে এ দিন রাজ্যগুলিকে পাঠানো এক চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে সমস্ত প্রতিষেধক রাজ্যগুলি এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে পেয়েছে, সেগুলি শুধুমাত্র স্বাস্থ্য-কর্মী, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার এবং ৪৫ ঊর্ধ্বদের জন্যই ব্যবহার করা যাবে। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের জন্য নয়। তার জন্য রাজ্যগুলিকে নিজেদেরই প্রতিষেধক সংগ্রহ করতে হবে।

Advertisement

রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মঙ্গলবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরে পূর্ব ভারতে বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের সভাপতি রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘‘১ মে থেকে আমাদের সরাসরি প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে প্রতিষেধক কিনতে হবে। কিন্তু কী ভাবে প্রক্রিয়াটি হবে, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা নেই। রাজ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।’’ তিনি জানান, প্রতিষেধকের বিষয়ে এ দিন রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে টিকার বিষয়ে রাজ্যকে নোডাল অফিসার করার আবেদন করা হয়েছে। রূপক বলেন, ‘‘সে ক্ষেত্রে আমরা রাজ্যের থেকেই প্রতিষেধক নিতে পারব। কিন্তু কেন্দ্র এখনও উত্তর দেয়নি বলেই জেনেছি। বিষয়টি স্পষ্ট হতে আরও দিন কয়েক লাগবে। আশা করি, ৫ মে থেকে প্রতিষেধক দিতে শুরু করা যাবে।’’ যদিও বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়ে না-থাকলে, কী ভাবে তা সম্ভব, সে বিষয়ে প্রশ্ন থাকছে।

রবিবারই রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা জানিয়েছিলেন, খাতায়-কলমে ১ মে থেকে ৪৫ বছরের কমবয়সিদের জন্য প্রতিষেধক নেওয়ার রাস্তা খুলে গেলেও বাস্তবে ১৫ মে-র আগে জনসংখ্যার এই অংশকে প্রতিষেধক দেওয়া কঠিন। কারণ, সিরাম জানিয়েছে, কেন্দ্র তাদের যাবতীয় মজুত প্রতিষেধক তুলে নিয়েছে। বিরোধীশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অভিযোগ, কেন্দ্র সমস্ত প্রতিষেধক ‘হাইজ্যাক’ করে রাজ্যের ঘাড়ে ১৮-৪৪

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন