Coronavirus in India

দু’মাস আগেই শুরু নির্মাণ, দেশের বৃহত্তম কোভিড শুশ্রূষা কেন্দ্র গড়ে তাক লাগিয়ে দিল আমদাবাদ

এমন এক কেন্দ্র যেখানে চিকিৎসার সুযোগসুবিধে-সহ আইসোলেশনে থাকতে পারবেন রোগীরা। রাতারাতি এই কেন্দ্র তৈরি করা যায়নি। দীর্ঘ কয়েক মাসের ভাবনাচিন্তার ফসল এই কেন্দ্র।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০৯:০০
Share:
০১ ১৫

করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আমদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তৈরি করেছে বৃহত্তম কোভিড-১৯ চিকিৎসা পরিষেবা। যাঁদের লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক পরিষেবার এই কেন্দ্র।

০২ ১৫

বর্তমানে আমদাবাদে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চারশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। শহরের এই চিকিৎসাকেন্দ্রে অন্তত দু’হাজার রোগী একসঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। ১৫ এপ্রিল এই কেন্দ্রের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
০৩ ১৫

আপাতত কোভিড-১৯ পজিটিভ, কিন্তু সঙ্কটজনক নন, এমন রোগীরাই এখানে থাকতে পারবেন। প্রথম দফায় আছেন ১৫ জন রোগী। এই কেন্দ্রের বিশেষত্ব হল, এটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নয়। ফলে এখানে সঙ্কটজনক রোগীদের আনা হচ্ছে না।

০৪ ১৫

বরং একে বলা যায়, এমন এক কেন্দ্র যেখানে চিকিৎসার সুযোগসুবিধে-সহ আইসোলেশনে থাকতে পারবেন রোগীরা। রাতারাতি এই কেন্দ্র তৈরি করা যায়নি। দীর্ঘ কয়েক মাসের ভাবনাচিন্তার ফসল এই কেন্দ্র।

০৫ ১৫

ভারতে যখন প্রথম করোনারোগীর সন্ধান মেলে, তখন থেকেই উদ্যোগী হয় আমদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। কোথায় এই কেন্দ্র করা যায়, প্রথমে তার উপযুক্ত জায়গা খুঁজে বার করা হয়।

০৬ ১৫

দু’মাস আগে শুরু হয় এই কেন্দ্রের নির্মাণপর্ব। মূল উদ্দেশ্য ছিল, হাসপাতালের উপর থেকে রোগীর চাপ কমানো।

০৭ ১৫

এই কেন্দ্রে আছে ফ্রি ওয়াইফাই, টেলিফোন, ইন্ডোর গেমস, কমিউনিটি রেডিয়ো, যোগাভ্যাসের ঘর, লাইব্রেরি, জিমন্যাসিয়াম, টিভি দেখার ঘর এবং চাহিদা মতো গান শোনার সুবিধে। চেষ্টা করা হয়েছে, রোগীরা যেন এখানে তাঁর বাড়ির পরিবেশ খুঁজে পান।

০৮ ১৫

আইএএস অফিসার নীতিন সঙ্গওয়ন বর্তমানে আমদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পশ্চিমাঞ্চলের ডেপুটি মিউিনিসপ্যাল কমিশনারের পদে আছেন। তিনি এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হয় এর কাজ।

০৯ ১৫

গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে সরকারি আবাসনগুলি খালি করিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবাসনের ফাঁকা ঘরগুলি ব্যবহার করা হয়েছে কেন্দ্র হিসেবে।

১০ ১৫

এই কেন্দ্রটি নির্মাণের সময় প্রথম থেকেই ভাবা হয়েছে যাতে এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক, সাফাইকর্মী বা নিরাপত্তারক্ষীরা সংক্রমণের শিকার না হয়ে পড়েন।

১১ ১৫

চেষ্টা করা হয়েছে যাতে নিশ্ছিদ্র করা যায় চিকিৎসা পরিষেবা। এমন ভাবে বিন্যাস করা হয়েছে, যাতে তিনটি দলে ভাগ করা যায় চিকিৎসাকর্মীদের। তাঁরা তিনটি শিফ্টে কাজ করছেন। প্রতি দলে আছেন এক জন চিকিৎসক এবং এক জন প্যারামেডিক। নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে তাঁদেরও, যাতে তাঁরা করোনা সংক্রমণের শিকার না হয়ে পড়েন।

১২ ১৫

যদি এখানে থাকতে থাকতে কোনও রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে, তার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। যাতে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পৌঁছনো যায় নিকটবর্তী হাসপাতালে।

১৩ ১৫

রোগীদের জন্য যা খাবার তৈরি করা হচ্ছে, তার দায়িত্বে আছেন সর্দার বল্লভভাই পটেল হাসপাতালের পুষ্টিবিজ্ঞানীরা। রোগীদের পথ্যে থাকছে খিচুড়ি, ডাল, তরকারি, স্যুপ, রুটি এবং ফলের রস।

১৪ ১৫

এর বাইরেও ব্যবস্থা নিয়েছে আমদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। শহরে বেশ কিছু আবাসন আছে, যেগুলি তৈরি হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। কিন্তু আপাতত সেগুলির বেশ কিছু ফ্ল্যাট ফাঁকাই পড়ে আছে। সেখানে কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। রয়েছেন এমন অনেকে, যাঁরা কোনও না কোনও ভাবে করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন।

১৫ ১৫

আমদাবাদে প্রথম থেকেই চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সঙ্কটজনক এবং সঙ্কটজনক নন, এমন রোগীদের আলাদা করে রাখা যায়। এর ফলে পরিষেবা বণ্টনের কাজে সুবিধে হয়েছে। করোনার বিরদ্ধে যুদ্ধের আগামী পর্বে এ ভাবেই এগোতে চায় এই শহর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement