Coronavirus Lockdown

ওড়িশা প্রথম, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়াল লকডাউনের মেয়াদ

বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘ওড়িশার মন্ত্রিসভা লকডাউনের মেয়াদ বাড়াচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও এই পদক্ষেপের জন্য সুপারিশ করছে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ১৪:০৩
Share:

লকডাউনে স্তব্ধ ওড়িশা।

বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।

Advertisement

বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে নবীন পট্টনায়েক জানিয়ে দেন, ‘‘ওড়িশার মন্ত্রিসভা লকডাউনের মেয়াদ বাড়াচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও এই পদক্ষেপ করার জন্য সুপারিশ করছে।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস মানবজাতির কাছে বড় আতঙ্ক। জীবন কখনও এক রকম থাকে না। প্রত্যেকের এই পরিস্থিতি বোঝা উচিত এবং সাহসের সঙ্গে এর মুখোমুখি হওয়া উচিত। আমাদের বলিদান এবং জগন্নাথদেবের কৃপায় এই সময় কেটে যাবে।’’

করোনায় বয়স্কদের মতোই শিশুরাও বিপদের মুখোমুখি। সে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির জন্য আরও বেশি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকবে। জন সাধারণের খাদ্য নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কৃষি, পশুপালন, একশো দিনের কাজ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবে।’’ তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিটিতে। সেই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘মৃতদেহ গোনা ছেড়ে দিয়েছি’, অচেনা নিউইয়র্কের ভয়াল বিবরণ তরুণীর

ওড়িশায় অবশ্য করোনার সংক্রমণের তেমন প্রভাব এখনও ধরা পড়েনি। রাজ্যে ৪২ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। গোটা দেশে অবশ্য করোনার আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১০০ জনের বেশি।

আরও পড়ুন: মেয়াদ বাড়লে কষ্ট করে চালান, বললেন মমতা

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন,feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন