প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের মধ্যে দূরে আটকে পড়া স্বামীকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীয়ের কাছে পৌঁছে দিতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন এক পুলিশ আধিকারিক। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে সেই দুঃসময়ের বন্ধু, সেই আধিকারিকের নামেই সদ্যোজাতের নাম রাখলেন ওই দম্পতি।
বরেলীর বাসিন্দা তমান্না খানের স্বামী আনিস খান আটকে পড়েন নয়ডায়। এ দিকে প্রসবের দিন এগিয়ে আসছিল। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না বছর পঁচিশের তমান্না। শেষমেশ ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে বরেলীর এসএসপি শৈলেশ পাণ্ডের কাছে সাহায্যের আর্জি জানান তিনি। শৈলেশ যোগাযোগ করেন নয়ডার এডিসিপি রণবিজয় সিংহের সঙ্গে। রণবিজয় নিজে গিয়ে আনিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও যথাসম্ভব দ্রুত তাঁকে বরেলী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। গত বৃহস্পতিবার ছেলে হয়েছে তমান্নার। দম্পতির ইচ্ছে অনুযায়ী নয়ডার এডিসিপির নামেই তার নাম রাখা হয়েছে ‘মহম্মদ রণবিজয় খান’। তমান্নার কথায়, ‘‘আমার মতে এই পুলিশ আধিকারিকেরাই হলেন সমাজের আসল হিরো!’’