Covaxin

COVID-19 Vaccine: করোনা রুখতে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী কোভ্যাক্সিন, মিলতে পারে হু-র অনুমোদনও

ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, টিকার তৃতীয় পর্যায়ে দেশের ২৫ হাজার ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ১৭:০৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিন। দেশ জুড়ে ওই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্যাদি-সহ ফলাফলের রিপোর্টে সিলমোহর দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। আশা করা হচ্ছে, এ বার হয়তো মিলতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র অনুমোদনও।

Advertisement

ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে ২৫ হাজার ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ডিসিজিআই-এর কাছে টিকার তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তারা। সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ডিসিজিআই-এর সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। মঙ্গলবার তাতে কমিটির সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছে। ডিসিজিআই-এর পর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এ বার এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-রও অনুমোদন পাবে বলেই আশা করছেন ভারত বায়োটেক কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলাকালীনই এ দেশে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য গত বছর তা অনুমোদন পেয়েছিল। করোনা রুখতে ‘জনস্বার্থে’ এই টিকা প্রয়োগের সরকারি সিদ্ধান্তের কম সমালোচনা হয়নি। করোনার প্রাথমিক পর্বে টিকা নিয়ে জনমানসে দ্বিধাবোধ থাকার পিছনেও এই পদক্ষেপকে অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন অনেকে। তবে ডিসিজিআই-এর অনুমোদনের পর হু-র বিশেষজ্ঞরা কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে সবুজ সঙ্কেত দিলে এই টিকাগ্রহণকারী ভারতীয়দের বিদেশে ভ্রমণ সহজতর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে এই টিকা এখনও পর্যন্ত কোভিড প্রতিরোধী হিসেবে অনুমোদিত নয়।

Advertisement

চলতি বছরের মার্চে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ভারত বায়োটেকের প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীদের মধ্যে যাঁদের আগে থেকে কোনও সংক্রমণ নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে করোনা রুখতে এটি ৮১ শতাংশ কার্যকর। ওই রিপোর্টে আরও দাবি, এতে করোনা সংক্রমিতদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর ঝুঁকি একেবারেই নেই। তবে এ সমস্ত তথ্যই আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত কোনও গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। যদিও চলতি মাসে ভারত বায়োটেকের দাবি ছিল, দেশের নিয়ামক সংস্থার অনুমোদনের পর এর তৃতীয় পর্বে ট্রায়াল রিপোর্ট আন্তর্জাতিক জার্নালগুলিতে ৩ মাসের মধ্যে জমা দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন