— প্রতীকী চিত্র।
পাকিস্তানি স্ত্রীর ভারত থেকে ‘বিতাড়ন’ (ডিপোর্টেশন) আটকাতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনী (সিআরপিএফ)-এর এক জওয়ান! জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টে মামলা করেছেন ওই দম্পতি। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ওই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং জম্মু-কাশ্মীর সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। হাই কোর্টের বিচারপতি রাহুল ভারতী ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে নিজেদের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে দিয়েছে ভারত। দীর্ঘমেয়াদি ভিসা এবং কূটনৈতিক ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর নয়। স্বল্পমেয়াদি ভিসায় এ দেশে আসা পাকিস্তানিদের ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাঁদের মেডিক্যাল ভিসা রয়েছে, তাঁদের জন্য আরও দু’দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এই অবস্থায় ওই আধাসেনা জওয়ান এবং তাঁর স্ত্রী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। পাকিস্তানি স্ত্রীর দীর্ঘমেয়াদি ভিসার আবেদন যাতে গ্রহণ করা হয়, আদালতের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছেন দম্পতি।
বস্তুত, ওই মহিলা স্বল্পমেয়াদি ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। দম্পতির আইনজীবী জানান, তাঁর পর্যটক ভিসা ছিল। সেটির মেয়াদ গত ২২ মার্চ শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে একটি ‘এগজিট পারমিট’ দেওয়া হয়েছিল। সাধারণত কোনও বিদেশির ভিসার মেয়াদ শেষের পর দেশ ছাড়ার সময় কিংবা ভিসার মেয়াদ বর্ধিত করার আবেদন বিবেচনাধীন থাকাকালীন এই ‘এগজিট পারমিট’ দেওয়া হয়। দম্পতির আইনজীবীর বক্তব্য, সেটি এখন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ওই দম্পতির অনলাইনে বিবাহ হয়েছিল বলে দাবি করা হয় আদালতে। কিন্তু, বিবাহের শংসাপত্রে নির্দিষ্ট স্থানের কথা উল্লেখ রয়েছে। তা দেখে সংশয় প্রকাশ করে আদালত। এমন কোনও বিবাহের আইনি স্বীকৃতি রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন বিচারপতি।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলাকে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেওয়া হবে কি না, সেটি কেন্দ্রীয় সরকার স্থির করবে। বর্তমানে ওই মহিলা একজন পাকিস্তানি নাগরিক, যিনি স্বল্পমেয়াদি ভিসায় এ দেশে এসেছিলেন এবং সেটির মেয়াদও ফুরিয়ে গিয়েছে। আগামী ১৪ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।