Crocodile Attack

কুমিরের হামলায় তিন জনের মৃত্যু ১৬ দিনে, ভয়ে সিঁটিয়ে ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া, বাড়ছে ক্ষোভও

নিমপুর গ্রামে কুমিরের প্রথম হামলার ঘটনা ঘটেছিল ১৪ জুন। মায়ের সামনে থেকে এক কিশোরকে টেনে নিয়ে যায় কুমির। তার পর ২১ জুন হাতিয়াগড়ে কুমিরের হামলায় মৃত্যু হয় সীতারানি দাসের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১৭:৫৫
Share:

এ রকমই একটি কুমির হামলা চালিয়েছে কেন্দ্রাপাড়ায়। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কুমিরের হামলায় আতঙ্ক বাড়ছে ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ায়। বৃহস্পতিবার আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে কুমিরের হামলায়। গত ১৬ দিনে এই নিয়ে তিন বার হামলায় তিন জনের মৃত্যু হল ওড়িশার এই জেলায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণী নদীর ধারে নিজের ক্ষেত দেখতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রাপাড়া ব্লকের ঘাঘারাডিয়া গ্রামের বাসিন্দা গঙ্গাধর তরাই। সেই সময় তাঁর উপর হামলা চালায় কুমির। গঙ্গাধরের দেহ টেনে নিয়ে যায় নদীতে। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর তাঁর দেহাংশ উদ্ধার হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী প্রতাপ মাঝি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সকালে ক্ষেত দেখতে গিয়েছিলেন গঙ্গাধর। তার পর নদীতে নেমেছিলেন। সেই সময় নদীর ধারেই ছিল কুমির। গঙ্গাধর সেটিকে খেয়াল করেননি। আচমকাই তাঁর উপর হামলা চালায় কুমিরটি। গঙ্গাধরের চিৎকার শুনে বেশ কয়েক জন ছুটে যাই। তত ক্ষণে তাঁকে নিয়ে নদীতে ডুব দিয়েছিল কুমিরটি।”

Advertisement

দমকল আধিকারিক অসিত কুমার কর বলেন, “কুমিরের হামলার ঘটনার খবর পেয়েই ওই গ্রামে আসি। তল্লাশি শুরু করি। নদীর ধার ধরে অনেকটাই তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কুমিরের হদিস মেলেনি। সাত ঘণ্টা পর গঙ্গাধরের দেহ উদ্ধার হয়।”

গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রামে ঠিক মতো জল সরবরাহ না থাকায় বাধ্য হয়ে নদীর জলের উপর নির্ভর করতে হয়। এই ঘটনা পর পর ঘটায় আতঙ্ক বেড়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। একইসঙ্গে ক্ষোভও বাড়ছে। নিমপুর গ্রামে কুমিরের প্রথম হামলার ঘটনা ঘটেছিল ১৪ জুন। মায়ের সামনে থেকে এক কিশোরকে টেনে নিয়ে যায় কুমির। তার পর ২১ জুন হাতিয়াগড়ে কুমিরের হামলায় মৃত্যু হয় সীতারানি দাস নামে এক মহিলার। নদীতে জামাকাপড় ধোওয়ার সময় কুমিরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন