— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় দিটওয়ার তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কায় মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেল। সংবাদসংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সে দেশে ৩৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ অন্তত ৪০০ জন। প্রতিবেশী এই দেশে আটকে পড়েছেন বেশ কিছু ভারতীয়ও। বিমানে করে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত সে দেশে প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে। মৃত অন্তত ৩৩৪ জন। এই দুর্দিনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। উদ্ধারকাজে নেমেছে ভারতের বায়ুসেনা। ইতিমধ্যে আকাশপথে কলম্বোয় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে অন্তত ২১ টন ত্রাণসামগ্রী। আইএনএস বিক্রান্তে করে পাঠানো হয়েছে চেতক হেলিকপ্টার। বিশাখাপত্তনম থেকে ত্রাণ নিয়ে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে আইএনএস সুকন্যাও। এই গোটা উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সাগরবন্ধু’। সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দেরও বিমানে করে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
শ্রীলঙ্কা থেকে ক্রমশ ভারতের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে দিটওয়া। চেন্নাইয়ের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,রাত ৯টা নাগাদ কুড্ডালোর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, করাইকাল থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, পুদুচেরী থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং চেন্নাই থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ছিল দিটওয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপকূল থেকে দূরত্ব কমছে তার, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাওয়ার গতিবেগ। তবে মৌসম ভবন জানিয়েছে, দিটওয়া স্থলভাগে প্রবেশ করবে না। বরং স্থলভাগের খুব কাছ দিয়ে সমুদ্র বরাবর এগিয়ে যাবে তা। তার পর সেটি পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে তামিলনাড়ুতে। দুর্যোগের জেরে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে তুতিকোরিন এবং তাঞ্জাভুরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ময়িলাদুতুরাইয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। এ ছাড়া, শতাধিক গবাদি পশু ও প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টিতে ধসে গিয়েছে বহু বাড়ি। কৃষিজমি ও ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।