কিউটি মেন্ডিরাত্তা নামে ওই তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
বিকল হয়ে গিয়েছিল মেয়ের কিডনি। নিজের অঙ্গ দিয়ে ২১ বছরের কন্যের জীবন বাঁচালেন বাবা। সেরে ওঠার পর সমাজমাধ্যমে নিজেই সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন দিল্লির নেটপ্রভাবী তরুণী। বললেন, ‘‘যেন নতুন জীবন পেলাম!’’
সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয় ওই তরুণীর নাম কিউটি মেন্ডিরাত্তা। মাস কয়েক আগে মূত্রনালীর সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে কিডনিতেও। পরিস্থিতি খারাপ হতে হতে এক পর্যায়ে কিউটির দু’টি কিডনিই প্রায় বিকল হয়ে যায়। উপায় না দেখে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালই বাড়ি হয়ে ওঠে কিউটির। প্রবল মানসিক চাপে সমাজমাধ্যম থেকেও বিরতি নেন তিনি।
আর তখনই এগিয়ে আসেন কিউটির বাবা যোগেশ মেন্ডিরাত্তা। মেয়েকে নিজের কিডনি দিতে মনস্থ করেন। যোগেশের কথায়, ‘‘আমার কাছে মেয়েকে তার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ দেওয়ার চেয়ে আর কোনও কিছুই বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি আমার একটা কিডনি পেয়ে ও নতুন করে বাঁচতে পারে, হাসতে পারে এবং জীবনে সফল হতে পারে, তা হলে আমি আবারও এমন করতে দু’বার ভাবব না।’’ কয়েক মাস আগে দিল্লির পার্ক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বাবার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে মেয়ের শরীরে। সুস্থ হয়ে সমাজমাধ্যমে কিউটি বলেছেন, ‘‘আমার বাবা আমাকে দু’বার জীবন দিলেন। মনে হচ্ছে যেন পুনর্জন্ম হল— শুধু শারীরিক ভাবে নয়, মানসিক ভাবেও।’’ হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক সুরজিৎ কুমার বলেন, “আমাদের কাছে প্রতিটি প্রতিস্থাপনই এক একটি যুদ্ধ, যা আমরা রোগীদের সঙ্গে একসঙ্গে মিলে লড়ি। কিউটিকে সুস্থ হয়ে হাসিমুখে ঘুরতে দেখে আবারও অনুভব করছি কোথায় আমাদের কাজের সার্থকতা। ওর অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং ওর বাবার সাহসকে কুর্নিশ।’’