জখম সন্তোষ নায়েক। নিজস্ব চিত্র
ঝড় আসবে, জানতাম। সতর্কও ছিলাম। তবু এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। কী ভাবে যে পাথরের চাঙড়টা ভেঙে পায়ের উপর পড়ল, সেটাই বুঝতে পারলাম না। দু’টো আঙুল পুরো থেঁতলে গিয়েছে। জানি না, আঙুল বাদ দিতে হবে কি না।
আমার নিজের ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার ব্যবসার কোনও কাজ রাখিনি। কারণ, জানি কোনও কাজই করা যাবে না। বাড়ির ভিতরেই ছিলাম। আমাদের বাড়ি পুরীর চন্দনপুর এলাকায়। সকাল ৮টার সময় ঝড়
শুরু হল। এরকম ঝড় এই প্রথম দেখলাম। ১৯৯৯ সালে ঝড় হয়েছিল ঠিকই, তখন আমার বয়স সবে আট। ফলে তখন কী হয়েছিল, ভাল করে মনে নেই।
সকাল ১০টা-সওয়া ১০টা নাগাদ ঝড়ের গতি কমেছিল। মনে হল যাক, ঝড় থেমেছে তা হলে! বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশের বাড়ির দিকে গিয়েছি। আবার ঝড় শুরু হল। এবার গতি যেন আরও বেশি। আমি তাড়াতাড়ি পাশের বাড়িতে ঢুকে পড়লাম।
হঠাৎ কোথা থেকে একটা পাথর এসে দুম করে পড়ল পায়ের উপরে।
পায়ের আঙুল দু’টো নিমেষে অবশ হয়ে গেল। অন্যরা দৌড়ে এল পাথরটা সরানোর জন্য, কিন্তু এত যন্ত্রণা হচ্ছিল যে মনে হচ্ছিল জ্ঞান হারিয়ে ফেলব। পাথরটা তোলার পর দেখলাম পায়ের আঙুল দু’টো থেঁতলে গিয়েছে পুরো।
জীবনের বড় ক্ষতি হয়ে গেল!