পর্যটকদের ফেরাতে পুরী থেকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল। প্রতীকী ছবি।
ফণীর ছোবল থেকে নিস্তার পেতে ওড়িশার পর্যটকদের জন্য তিনটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল। যার প্রথমটি ওড়িশার পুরী থেকে বেলা দেড়টায় ছাড়ার কথা। এর পর বিকেল ৩টেয় পুরী থেকে ছাড়ছে ট্রেন। তৃতীয় বিশেষ ট্রেনটি ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায়। খুরদা রোড, ভুবনেশ্বর, কটক, জাজপুর, ভদ্রক, বালেশ্বর এবং খড়গপুরে এই ট্রেনগুলো দাঁড়াবে।
রেল সূত্রে খবর, এই তিনটি বিশেষ ট্রেনের মধ্যে দুটি হাওড়া পর্যন্ত আসবে। একটি আসবে শালিমার পর্যন্ত। তিনটি ট্রেনেই স্লিপার, এসি- সবরকম কামরা থাকছে। যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছেই সরাসরি টিকিট সংরক্ষণ করে নিতে পারবেন। জেনারেল টিকিটের ব্যবস্থাও থাকছে।
যে ট্রেনটি বেলা দেড়টায় ছাড়ছে সেটা প্রথমে বেলা ১২টায় ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেক পর্যটকই দেরিতে খবর পাওয়ায়, স্টেশনে পৌঁছতেও অনেকের দেরি হয়। সে কারণেই তার সময়সীমা দেড় ঘণ্টা পিছিয়ে দেয় ভারতীয় রেল।
আরও পড়ুন: মাত্র ৪৫০ কিমি দূরে ফণী, সরানো হল ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষকে
পাশাপাশি অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার থেকে এখনও পর্যন্ত ১০৩টি ট্রেন বাতিল করেছে ভারতীয় রেল।
বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব রেল ১৭টি ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিল। এর সঙ্গে ইস্ট-কোস্ট রেলও প্রচুর ট্রেন বাতিল করেছে। সব মিলিয়ে এখনও বাতিল ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৩টি।
পুরীর বিভিন্ন হোটেলের কাছে এবং রাস্তায় রাস্তায় বিশেষ ট্রেনের কথা মাইকে ঘোষণা করছেন রেলকর্মীরা। ছবি: দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে পাওয়া।
বাতিল হওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে, হাওড়া-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-হায়দরাবাদ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-রামেশ্বরম এক্সপ্রেস, হাওড়া-সেকেন্দরাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: ফুঁসছে ফণী, ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে আটঘাট বেঁধে তৈরি প্রশাসন
বাতিল হওয়া ট্রেনের টিকিটের মূল্য যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে, জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। তার জন্য যে তারিখে ট্রেনে ওঠার কথা, তার তিনদিনের মধ্যে রেলের কাছে সেই টিকিট পেশ করতে হবে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: হুদহুদ থেকে আয়লা হয়ে তিতলি, হানা দিয়েছে যে সব বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়
শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই ওড়িশায় আছড়ে পড়বে ফণী। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে সমগ্র ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশা থেকে ফণী মুখ ঘুরিয়ে এ রাজ্যের দিকে আসবে। শক্তি কমলেও তার দাপটে কলকাতা-সহ রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।