ঝড়ে উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুত্স্তম্ভ। ছবি: পিটিআই।
বিদ্যুত্ বিপর্যয় এবং জলের সমস্যা ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছে ওড়িশার ফণী বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে বহু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। ফলে রাজ্যের উফকূলীয় জেলাগুলির একটা বিস্তীর্ণ অংশ গত ৮ দিন ধরে বিদ্যুত্হীন। সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়েছে তাপপ্রবাহের চোখরাঙানি। একে বিদ্যুত্, জল নেই, তার উপর গরমের দাপট— দুইয়ে মিলে রাজ্যবাসীর ক্ষোভে যেন ঘি ঢেলে দিয়েছে।
বিদ্যুত্ ও পানীয় জল ফিরিয়ে আনার দাবিতে রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলগুলির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন লোকজন। শুক্রবারই ভুবনেশ্বরের গ্যারাজ চকে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই ইউলিটি (সিইএসএউ)-র অফিসে হামলা চালোনোর চেষ্টাও করা হয়ে বলে অভিযোগ। গত ৩ মে ঘূর্ণিঝড় ফণীতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পুরী, ভুবনেশ্বর-সহ রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুরী ও ভুবনেশ্বরের। ফণীর দাপটে শুধু ভুবনেশ্বেরই দেড় লক্ষেরও বেশি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে বিদ্যুত্ গ্রাহকের সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি। তবে ইতিমধ্যেই বেশির ভাগ জায়গায় বিদ্যুত্ স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের। যে সব জায়গা এখনও বিদ্যুত্হীন অবস্থায় রয়েছে, পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীরা দিনরাত এক করে কাজ করছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। রাজ্যের মুখ্যসচিব এ পি পাধী জানান, ভুবনেশ্বরে ৫০ শতাংশ গ্রাহক স্বাভাবিক বিদ্যুত্ পরিষেবা পাচ্ছেন। যত দ্রুত সম্ভব বাকি অঞ্চলগুলোতেও বিদ্যুত্ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তথ্য এবং জনসংযোগ দফতরের সচিব সঞ্জয় সিংহ জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে ভুবনেশ্বরের ১০০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুত্ পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ‘বিভেদের গুরু’, মোদীর বিরুদ্ধে সরব টাইম পত্রিকা
আরও পড়ুন: ঝরছে আগুন, আপাতত আশা নেই ঝড়বৃষ্টির