National news

‘অক্ষি’তে মৃত বেড়ে ১৭, উদ্ধারকার্যে নামল যুদ্ধজাহাজ

শুক্রবার কেরলের প্রায় ২০০ জন মৎস্যজীবী মাঝ সমুদ্রে গিয়েছিলেন।  কিন্তু তার পরই অক্ষির দাপটে আটকে পড়েন তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:৫১
Share:

তিরুঅনন্তপুরমে নৌসেনার উদ্ধারকার্য চলাকালীন এক মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: এপি।

অভিমুখ বদলে লাক্ষাদ্বীপের উপরে চলে গেলেও এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসেনি। হদিস মেলেনি সাইক্লোনে মাঝসমুদ্রে নিখোঁজ ১০২ জন কেরলের মৎসজীবীর। হাওয়ার গতিপথ বুঝে আলাপুঝার দিকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষা বাহিনী। এখনও পর্যন্ত এই ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। কেরল ও তামিলনাড়ুর উপকূলে এখনও সতর্কতা জারি রয়েছে। উদ্ধারকার্যে গতি আনতে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে নৌসেনা। আইএনএস নিরীক্ষণ, আইএনএস যমুনা তিরুঅনন্তপুরম এবং কোল্লাম উপকূলে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। আরও দু’টি যুদ্ধজাহাজকে পাঠানো হয়েছে লাক্ষাদ্বীপে।

Advertisement

শুক্রবার কেরলের প্রায় ২০০ জন মৎস্যজীবী মাঝ সমুদ্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরই অক্ষির দাপটে আটকে পড়েন তাঁরা। প্রশাসনের তৎপরতায় তাঁদের মধ্যে অনেককে উদ্ধার করা গেলেও এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ১০২ জন মৎস্যজীবীর। ঝড়ের দাপট এতটাই বেড়ে যায় যে তার মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালানোও সম্ভব হয়নি। শনিবার সকাল থেকে নতুন করে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।

তিরুঅনন্তপুরমের জেলাশাসক এস বাসুকি জানান, হতে পারে মাঝসমুদ্রে জ্বালানি শেষ হয়ে গিয়েছে মৎস্যজীবীদের। ঝড়ের গতিপথ যেহেতু আলাপুঝার দিকে, তাই মৎস্যজীবীদের নৌকাও হাওয়ার সঙ্গে সে দিকে গিয়ে থাকতে পারে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সেনাকর্তার বিরুদ্ধে ব্যারাকে প্যামফ্লেট বিলি, পিছনে কি আইএসআই?

দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে শক্তি বাড়িয়ে সাইক্লোন অক্ষি আছড়ে পড়ে কেরল ও তামিলনাড়ুতে। অক্ষির দাপটে কেরল ও তামিলনাড়ুর জনজীবন রীতিমতো থমকে যায়। শুক্রবারেই এই দুই রাজ্য মিলিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। শনিবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ জন। অক্ষির অবস্থান এখন লাক্ষাদ্বীপের উপরে। তবে কেরল ও তামিলনাড়ুর উপর তার প্রভাব রয়েই গিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টাতেও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন