মন্দিরে ঢুকতে চাওয়ায় দলিত বৃদ্ধকে পুড়িয়ে খুন উত্তরপ্রদেশে

গোমাংস খাওয়ার গুজব ছড়িয়ে এক মুসলিম প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল সোমবার। বুধবার মন্দিরে ঢুকতে চাওয়ায় পুড়িয়ে মারা হল ৯০ বছরের বৃদ্ধকে। সেই উত্তরপ্রদেশেই। বৃদ্ধের ‘দোষ’ একটাই। তিনি দলিত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৫ ১২:৪৯
Share:

মন্দিরের সামনে পুলিশি প্রহরা। ছবি: টুইটার।

গোমাংস খাওয়ার গুজব ছড়িয়ে এক মুসলিম প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল সোমবার। বুধবার মন্দিরে ঢুকতে চাওয়ায় পুড়িয়ে মারা হল ৯০ বছরের বৃদ্ধকে। সেই উত্তরপ্রদেশেই। বৃদ্ধের ‘দোষ’ একটাই। তিনি দলিত। মন্দিরে পুজো দিতে চাওয়ার ‘অপরাধে’ গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হল তাঁকে। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের ঘটনা।

Advertisement

দিন চারেক আগে, উত্তরপ্রদেশেরই নয়ডায় গোমাংস খাওয়ার গুজব রটিয়ে এক মুসলিম প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। ব্যতিক্রম বুঝি শুধু উত্তরপ্রদেশ! সেখানে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। শুধু কারণটাই যা আলাদা।

বুধবার সন্ধ্যায় ৯০ বছরের চিম্মা সপরিবারে পুজো দিতে যান হামিরপুরের ময়দানি বাবা মন্দিরে। পুজো তো দুর অস্ত, মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে পর্যন্ত পারেননি তিনি। সিড়িতেই তাঁদের সঞ্জয় তিওয়ারি নামে এক যুবক বাধা দেয়। সঙ্গে ছিল আরও দুই যবক। তাতে অবশ্য আমল দেননি চিম্মা। ভারী অস্ত্র দিয়ে তাঁকে মারতে শুরু করে ওই যুবক। স্ত্রী সাহায্যের জন্য চিৎকার জুড়ে দিলে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তাঁর গায়ে। মন্দিরের সামনে, প্রকাশ্যেই। কিন্তু তাঁকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে অবশ্য সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তত ক্ষণে বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন। রাস্তারই কয়েক জন যুবক এগিয়ে এসে ধরে ফেলেন অভিযুক্ত ওই যুবক তিওয়ারিকে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তার দুই সঙ্গী অবশ্য পালিয়ে যায়। বৃদ্ধ দলিত বলেই কি তিনি কোনও সাহায্যে পেলেন না? প্রকাশ্যেই তাঁকে খুন হয়ে যেতে হল? উঠছে প্রশ্ন। আর একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। পাশের রাজ্য বিহার ভোটের ঠিক আগে কখনও মুসলিম, কখনও দলিতদের পিটিয়ে মারার পরপর ঘটনা ঘটছে উত্তরপ্রদেশে। এর পিছনে কি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে?

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন