উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এসপি। ছবি সৌজন্যে টুইটার।
ভিন ধর্মে বিয়ে করেছেন ছেলে, সেই ‘অপরাধ’-এ খাপ পঞ্চায়েতে ডেকে মারধর করা হল বছর চুয়াল্লিশের এক দলিত ব্যক্তিকে। আদালত অনুমতি দিয়েছিল দলিত ওই ব্যক্তির ছেলে ও পুত্রবধূকে একসঙ্গে থাকার। এরপরেও ওই সভায় ডেকে এনে নিজের থুতু খেতে বাধ্য করা হল শ্রীকৃষ্ণ নামে ওই ব্যক্তিকে। মারধরের পরে তাঁকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হল। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের সোনদা হাবিবপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
গ্রামের মাতব্বররা ওই ব্যক্তির গায়ে থুতু ছিটিয়ে দলিত ওই ব্যক্তিকে মারধর করে, স্ত্রী ও কন্যাকে নগ্ন করে গ্রামে ঘোরানোর হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপর মাটিতে ওই ব্যক্তিকে থুতু ফেলতে বলে সেই থুতু চাটতেও বলা হয় তাঁকে। প্রথমে এই ঘটনার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলেও স্থানীয় খুরজানগর থানা। পরে পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ভিন ধর্মে বিয়ে করায় ওই ব্যক্তির পুত্রবধূর পরিবারের তরফে তাঁর পরিবারের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেয়। প্রাপ্তবয়স্ক দুই ব্যক্তিকে একসঙ্গে থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়। রাজিয়া আদালতে জানায়, তাঁর স্বামী শিবকুমারের সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতেই তিনি থাকতে চান। স্বেচ্ছায় শিবকুমারের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন রাজিয়া। এরপরে আদালত তাঁদের পুনর্বিবাহের নির্দেশ দেয়।
শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ছেলে ও পুত্রবধূর নিরাপত্তার কারণেই তাঁদের গ্রাম ছেড়ে যেতে বলেছিলেন তিনি। এরপরই পঞ্চায়েতে নালিশ জানায় ওই মেয়েটির পরিবার। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকে বলে তাঁরা বিবাদ মিটিয়ে নিতে চান, তাই পঞ্চায়তে সালিশি সভা ডাকা হয়েছে। সভায় যাওয়ার পরই চূড়ান্ত হেনস্থা করা হয় তাঁকে। থানায় অভিযোগ নিতেও অস্বীকার করা হয়। পরে যদিও নরেশ, কুলদীপ, বিষ্ণু, বিল্লু ও ভোরা নামে পাঁচ ব্যক্তির নামে এফআইআর দায়ের করেন শ্রীকৃষ্ণ। জেলার পুলিশ সুপার আশ্বাস দিয়েছেন, ঘটনায় যুক্ত দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। আদালতের অনুমতির পরেও খাপ পঞ্চায়েত কীভাবে হস্তক্ষেপ করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল আবারও।
আরও পড়ুন: ট্রোলিংয়ের জবাব দিতে টুইটারে ভোট নিলেন সুষমা
ঘর ভর্তি লাশ! দিল্লিতে উদ্ধার একই পরিবারের ১১ জনের দেহ
গাড়ি থামিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় মার বিধায়ক পুত্রের! দেখুন ভিডিয়ো