দাউদ ইব্রাহিম
উইল করে আত্মীয়দের নামে সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম। তোলাবাজির মামলায় অভিযুক্ত, দাউদের ভাই ইকবাল কাসকর মুম্বইয়ে পুলিশি জেরার মুখে এই তথ্য জানিয়েছেন।
কাসকরের দাবি, ২০১৪ সালে ওই উইল বানিয়ে সমস্ত সম্পত্তি আত্মীয়দের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেন দাউদ। তবে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন ইকবাল নিজে। তিনি জানান, মুম্বইয়ে তাঁকে ও পরিবারের বাকি সদস্যদের দাউদ নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। পাশাপাশি, যখনই টাকার দরকার পড়েছে দাদাকে মানসিক চাপ দিয়েছেন তিনি!
দোর্দণ্ডপ্রতাপ ডন তাঁর ভাইয়ের মান ভাঙাতে টাকা পাঠাতে কখনও দেরি করেননি। ইকবাল ছাড়াও সম্পত্তির ভাগ পেয়েছেন দাউদের স্ত্রী মেহজবিন, দুই মেয়ে মাহরুখ ও মেহরিন, ছেলে মইন, দুই জামাই জুনেদ এবং আয়ুব। শুধু স্থাবর সম্পত্তি নয়, ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমস্ত ব্যবসাও ভাগ করে দিয়েছেন দাউদ। বড় মেয়ে মাহরুখ পেয়েছেন উপসাগরীয় দেশগুলিতে ব্যবসার অধিকার। বড় জামাই জুনেদের দায়িত্বে হিরে ও পোশাকের ব্যবসা, করাচির বিলাসবহুল বাংলো-সহ নির্মাণ সংস্থার মালিকানা পেয়েছেন আয়ুব।
সম্প্রতি দাউদ ইব্রাহিমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দাউদের মুম্বইয়ের সম্পত্তি যাতে বাজেয়াপ্ত করা না হয়, সেই আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ডনের পরিবার। শুক্রবার তা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরেই সামনে এসেছে এই সম্পত্তি ভাগের তথ্য। সেই সূত্রে আরও অনুমান, সম্প্রতি দাউদের অসুস্থ হয়ে পড়ার যে খবর ছড়িয়েছিল, তা ভুল নয়। সম্ভবত সেই কারণেই এই ভাগ-বাঁটোয়ারা।