Daughter Beats Father in Madhya Pradesh Viral Video

পা চেপে ধরেছিলেন স্ত্রী, লাঠি দিয়ে মারছিলেন মেয়েরা! অপমানে আত্মঘাতী প্রৌঢ়, প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ়ের নাম হরেন্দ্র মৌর্য। তাঁর দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন না তাঁকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৩
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

দিন কয়েক আগেই এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের মোরেনায়। সেই ঘটনার পর পরই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তাতেই দেখা যাচ্ছে, প্রৌঢ়ের পা চেপে ধরে রেখেছেন তাঁর স্ত্রী। সেই সুযোগে লাঠি দিয়ে বাবাকে বেধড়ক মারধর করছেন মেয়েরা। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে নানা মহলে। সমাজমাধ্যমেও উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ়ের নাম হরেন্দ্র মৌর্য। তাঁর দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন না তাঁকে খুন করা হয়েছে। হরেন্দ্র পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন। তিন মেয়ে এবং এক ছেলে তাঁর। প্রতিবেশী এবং তাঁর আত্মীয়স্বজন জানাচ্ছেন, স্ত্রী ও মেয়েদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হত হরেন্দ্রের। গত ১ মার্চই দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মেয়েদের বিয়ের পর পরই হরেন্দ্রের স্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, তিনি বিচ্ছেদ চান। এর পর বাপের বাড়িতেও চলে যান তিনি। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর হরেন্দ্র একটি ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। অনেক ক্ষণ কেটে গেলেও ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁর পরিবার দরজা ভেঙে ঢুকে হরেন্দ্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটি গত ১ ফেব্রুয়ারির। ভিডিয়োর সূত্র ধরেই মনে করা হচ্ছে, হরেন্দ্রকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়েরা। পুলিশ আধিকারিক দীপালি চন্দোরিয়া বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক বিরোধের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গ্বালিয়র মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ দীপালি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা মারধরের ওই ভিডিয়োটিও প্রমাণ হিসাবে সংগ্রহ করেছেন। ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement