ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল। — ফাইল চিত্র।
একের পর এক মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান এবং ভূমিধসে নাজেহাল হিমাচল প্রদেশ। মঙ্গলবার থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে ১১ বার মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে! বহু মানুষ নিখোঁজ। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে আরও কয়েক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মঙ্গলবার সারা রাজ্যে মোট ১১ বার মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। এর বেশির ভাগই হয়েছে মন্ডী জেলায়। কোথাও কোথাও ধসও নেমেছে। একটানা বৃষ্টি এবং একের পর এক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বুধবারও সিরমৌর জেলায় রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এখনও অন্তত ২৯ জন নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে উদ্ধার অভিযানে নেমেছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ), হোমগার্ড এবং পুলিশের যৌথ দল।
শুধু তা-ই নয়, সপ্তাহান্তে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে উনা, হমীরপুর, কাংড়া এবং মন্ডী জেলায়। ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্যে ২৬১টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে ১৮৬টিই মন্ডী জেলায়। ৫৯৯টি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গিয়েছে। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও। সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, টানা দুর্যোগে ১৫০টিরও বেশি বাড়ি, ১০৪টি গবাদি পশুর খোঁয়াড়, ১৪টি সেতু এবং বেশ কয়েকটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৬২টিরও বেশি গবাদি পশুর। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, যাঁদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কাছাকাছি কোনও সরকারি জমি পাওয়া গেলে সেখানে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।