বদগামে কফিনবন্দী মৃত সিআরপিএফ জওয়ানেরা।ফাইল চিত্র।
রক্তপাত বেড়েই চলেছে কাশ্মীরে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ থেকে ২০১৮-র মধ্যে জঙ্গি হামলা বা সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০১৯-এর শুরুটা যেমন হয়েছে, তাতেও আশার আলো নেই।
পুলওয়ামার ক্ষত এখনও টাটকা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাক জঙ্গি দল জইশের হামলায় সেখানে প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ৪৯ জন সিআরপি জওয়ানের। ৬০ ছাড়িয়েছিল আহতের সংখ্যা। এবং তার পরে শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই উপত্যকায় অন্তত ছ’টি সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১৪ জন জঙ্গির পাশাপাশি তাতে প্রাণ গিয়েছে ১৪ জন নিরাপত্তারক্ষীর। মৃত্যু হয়েছে এক সাধারণ নাগরিকেরও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, গত মাসে শেষ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল কুলগাম জেলায়। তিন জন জইশ জঙ্গির মৃত্যু হয় তাতে। আর বাহিনীর তরফে প্রাণ গিয়েছিল এক জওয়ান এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপার আমন ঠাকুরের। এ দিকে মার্চেও উপত্যকায় প্রায় রোজই সংঘর্ষ চলছে। যার মধ্যে কুপওয়ারা জেলার হান্দওয়ারায় জঙ্গিদের বাগে আনতে বাহিনীকে লড়তে হয়েছিল প্রায় ৬০ ঘণ্টা। নিহতের তালিকায় ছিল দুই জঙ্গি, চার জওয়ান, দুই পুলিশ এবং এক সাধারণ নাগরিকের নাম। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে গত কাল ত্রালে একটি বাড়ি ধূলিসাৎ হয়। গৃহহারার সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে।