প্রতীকী ছবি।
রেল ভাঁড়ারে নাকি বড্ড টানাটানি। এতটাই যে, টাকা বাঁচাতে সারা দেশে মাঝারি মাপের দু’হাজার স্টেশনে এসক্যালেটর বা চলমান সিঁড়ি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে রেল।
আগে রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, দিনে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন, এমন সব স্টেশনেই এসক্যালেটর বসানো হবে। স্টেশনের উন্নয়নের পাশাপাশি বয়স্ক ও অশক্ত যাত্রীদের কথা ভেবেই ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। রেল সূত্রের খবর, এই বিষয়ে সরকারি নীতিও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ঠিক ছিল, যে-সব স্টেশনে বছরে আট থেকে ৬০ কোটি টাকা আয় হয়, সেখানে ওই পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পাঠানো এক নির্দেশিকায় ওই পরিকল্পনা বাতিল করে জানানো হয়েছে, দিনে অন্তত এক লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন, এমন স্টেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজন থাকলে তবেই এসক্যালেটর বসানো যাবে।
রেলকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে এক লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন, এমন সব স্টেশনে প্রয়োজন অনুযায়ী চলমান সিঁড়ি বসানোর কাজ আগেই শেষ হয়েছে। তাই রেলের নতুন সিদ্ধান্তে শহরতলি বা মফস্সলের মাঝারি স্টেশনগুলিতে ওই সুবিধা যোগ হওয়ার সম্ভাবনায় ইতি পড়ল।
এক রেলকর্তা বলেন, “এক-একটি এসক্যালেটর বসাতে গড়ে এক কোটি টাকা খরচ পড়ে। একসঙ্গে দু’হাজার এসক্যালেটর বসানো হলে ওই খরচ অনেকটা কম হত।” তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে স্টেশনে এসক্যালেটর বসানোর নতুন নিয়মে ছাড় দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী বা সংসদীয় কমিটির সদস্যেরা চাইলে তাঁদের পছন্দসই স্টেশনে চলমান সিঁড়ি বসানো যেতে পারে। এ ছাড়াও বিশেষ ক্ষেত্রে রেলের কোনও অঞ্চল আবেদন জানালে তা খতিয়ে দেখা হবে।