রাজনাথ সিংহ। — ফাইল চিত্র।
পহেলগাম কাণ্ডের পর অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় সেনা ‘আরও অনেক আঘাত’ হানতে পারত। কিন্তু ইচ্ছা করেই, ‘সংযত ভাবে হিসাব করে’ প্রত্যাঘাত করা হয়েছে। আজ লাদাখে দাঁড়িয়ে এ কথা জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আজ লাদাখের শ্যেক টানেল থেকে সীমান্ত সড়ক সংক্রান্ত ১২৫টি নতুন পরিকাঠামোর উদ্বোধন করেছেন মন্ত্রী। যার মধ্যে রয়েছে সেতু, সড়ক এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকাঠামো।
রাজনাথের কথায়, “অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা দেখেছি সশস্ত্র সেনা, সরকারি প্রশাসন এবং সীমান্তে বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটতে। লাদাখের প্রত্যেক নাগরিককে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সীমান্তবাসীদের ধন্যবাদ, সেনাবাহিনীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।” প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, “এই সমন্বয়ই আমাদের পরিচয় বহন করে। এই পারস্পরিক বন্ধন বিশ্বে আমাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়।”
প্রকল্প উদ্বোধনে এসে রাজনাথ এ দিন ফের স্পষ্ট করে দেন, ৭ মে অপারেশন সিঁদুর অভিযান হয়েছিল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে, যাতে ২২ এপ্রিলের পহেলগাম হামলায় নিরীহ ২৬ জনের প্রাণনাশের বদলা নেওয়া যায়। তিনি বলেন, “কয়েক মাস আগেই আমরা দেখেছি পহেলগামে জঘন্য সন্ত্রাসবাদী হামলার পর আমাদের সেনা অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল। গোটা বিশ্ব আজ জানে যে পাকিস্তানের জঙ্গিদের কী হাল করেছিল আমাদের সেনাবাহিনী। আমরা চাইলে আরও আঘাত করতে পারতাম। কিন্ত আমাদের সেনাবাহিনী শুধুমাত্র শৌর্য্যই দেখায়নি, সংযমও দেখিয়েছে। যতটুকু জরুরি ছিল, ততটুকুই করেছে।”
রাজনাথের মতে, “অপারেশন সিঁদুরের ঐতিহাসিক সাফল্যের পিছনে রয়েছে সীমান্তের সংযোগ ব্যবস্থা এবং সেনাবাহিনীর কাছে ঠিক সময়ে ঠিক সরঞ্জামের জোগান। আজ সেনাবাহিনীর সামর্থ্য বেড়েছে, কারণ তারা ভাল সড়ক পাচ্ছে, স্যাটেলাইটের সহায়তা পাচ্ছে। যোগাযোগ যন্ত্রের উন্নতি, নজরদারির নেটওয়ার্ক-এর সহায়তা রয়েছে। প্রযুক্তি এখন সীমান্তের সেনাদের মেরুদণ্ড।”
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে