রাজনাথ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হবে বলে দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। একই সঙ্গে তিনি জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য আক্রমণ করারও প্রয়োজন পড়বে না। এই প্রসঙ্গে রাজনাথের দাবি, সেখানকার মানুষরাই ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি তুলেছেন।
দু’দিনের সফরে রবিবার মরক্কোয় গিয়েছেন রাজনাথ। সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাজনাথ বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হবে। সেখানকার মানুষ ইতিমধ্যেই সেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন।” একই সঙ্গে রাজনাথের সংযোজন, “পাঁচ বছর আগে আমি কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলাম পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে আমাদের আক্রমণ করার প্রয়োজন নেই। ওটা এমনিতেই আমাদের হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরও বলবে, আমরা ভারতের অংশ। ওই দিন আসতে চলেছে।”
এর আগে একাধিক বার পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীকেও বলতে শোনা গিয়েছে যে, খুব শীঘ্রই পাকিস্তানের দখল করে রাখা কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে এই দাবি আরও জোরালো হয়। গত বছর এই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন, ‘‘পিওকে কখনই ভারতের বাইরের অংশ ছিল না। সেটি এই দেশের অংশ। ভারতীয় সংসদের একটি রেজ়োলিউশন রয়েছে, যাতে বলা আছে, পিওকে ভারতেরই অংশ। এখন অন্যের কাছে পিওকের নিয়ন্ত্রণ কী করে গেল তা আলোচনার বিষয়।”
পিওকে ছাড়াও অপরেশন সিঁদুর, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়েও মুখ খুলেছেন রাজনাথ। অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, “চাইলে আমরা (পাকিস্তানের) যে কোনও সেনাঘাঁটি বা লোকালয়ে হানা দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা চাইনি। ভারতকে আমরা নীতিবিচ্যুত হতে দিইনি।” পহেলগাঁওয়ে ধর্ম পরিচয় জেনে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, “আমরা কাউকে ধর্মপরিচয়ের জন্য মারিনি। তাদের ক্রিয়াকলাপের জন্য হত্যা করেছি।”
ট্রাম্প ভারতের অধিকাংশ পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করলেও ভারত কেন তড়িঘড়ি এই বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজনাথকে। এই প্রশ্নের উত্তরে রাজনাথ বলেন, “আমরা প্রতিক্রিয়া জানাইনি। যারা বড় মন আর বড় হৃদয়ের হয়, তারা সঙ্গে সঙ্গে সব বিষয়ে জবাব দেয় না।”