Rafale Fighter Jet

যুদ্ধবিমানের ঘাটতি মেটাতে সক্রিয় কেন্দ্র, ‘আত্মনির্ভরতা’ অর্জনের লক্ষ্যে দেশেই তৈরি হবে রাফাল

ভারতীয় বায়ুসেনার প্রস্তাব মেনে ২ লক্ষ কোটি টাকার রাফাল নির্মাণ প্রকল্পের মূল্যায়ন শুরু করেছে ‘সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় পর্ষদ’ (ডিআরবি)। এর পর তা যাবে ‘প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি’ (ডিএসি)-র কাছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:১৫
Share:

রাফাল যুদ্ধবিমান। ছবি: সংগৃহীত।

৩৬টিতেই শেষ নয়। পরবর্তী ধাপে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আরও ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান তুলে দিতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগান অনুসরণ করে ফ্রান্সের বিমান নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সেগুলি নির্মাণ করা হতে পারে ভারতেই।

Advertisement

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি, ভারতীয় বায়ুসেনার প্রস্তাব মেনে ২ লক্ষ কোটি টাকার রাফাল প্রকল্পের মূল্যায়ন শুরু করেছে প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বাধীন ‘সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় পর্ষদ’ (‘ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট বোর্ড’ বা ডিআরবি)। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা হলে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বৃহত্তম প্রতিরক্ষা চুক্তি! ডিআরবি-র ছাড়পত্র পেলে ওই প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন ‘প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি’ (ডিএসি)-র কাছে।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ‘নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিগোষ্ঠী’ (সিসিএস)-র সবুজসঙ্কেত পাওয়ার পরেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে ১১৪টি রাফাল ‘মাল্টিরোল এয়ারক্র্যাফ্‌ট’ দেওয়ার প্রস্তাবের বাস্তবতা যাচাই করতে সক্রিয় হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন ডিআরবি। প্রসঙ্গত, এক দশক আগে ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে রাফাল চুক্তির সময়ই বায়ুসেনা জানিয়েছিল, তাদের দরকার ১২৬টি যুদ্ধবিমান। কিন্তু সেই সময় ফরাসি সংস্থা রাফালকে বরাত দেওয়া হয় ৩৬টি যুদ্ধবিমান। অন্য দিকে, ধাপে ধাপে মিগ-২১, মিগ-২৩ বাতিল হওয়ায় ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের ভাঁড়ারে সংখ্যার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র ৩৬টি রাফাল বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’(হ্যাল) তৈরি তেজসের নয়া সংস্করণ ‘মার্ক-১এ’-র সাহায্যে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।

Advertisement

বস্তুত, চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের শেষ থেকেই ধাপে ধাপে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে ‘তেজস মার্ক-১এ’ তুলে দেওয়ার কথা ছিল ‘হ্যাল’-এর। কিন্তু সেই সময়সীমা পার হওয়ার প্রায় দু’বছর পরেও একটিও ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে আসেনি বায়ুসেনার। সরকারি তথ্য বলছে, ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে ৪২টি ফাইটার স্কোয়াড্রন থাকার কথা। কিন্তু তা এখন ৩২-এ নেমে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে পুরনো প্রতিরক্ষা সহযোগী ফ্রান্সের সহযোগিতায় দ্রুত ঘাটতি পূরণের কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ৪.৫ প্রজন্মের রাফালের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘সুখোই এসইউ-৫৭’ (ফেলন নামেও যা পরিচিত)-এর দিকেও নজর রয়েছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই মস্কোর তরফে এসইউ-৫৭ই’ (এসইউ-৫৭-র এক্সপোর্ট ভ্যারিয়েন্ট) যুদ্ধবিমানের ‘যৌথ উৎপাদন’ এবং ‘সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তরে’র প্রস্তাব এসেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement