কিম জং উন। ছবি: রয়টার্স।
বিদেশি গান আর নাটকের পরে এ বার উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট একনায়ক কিম উনের নিশানায় বিদেশি সিনেমা এবং টিভি চ্যানেল। সাম্প্রতিক সময়ে সে দেশে বিদেশি সিনেমা এবং টিভি দেখার অপরাধে বেশ কয়েক জন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে।
পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ জানাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে ‘বিদেশি’ হিসাবে কিম সরকারের প্রধান নিশানা পড়শি শত্রু দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। ভাষাগত সাদৃশ্যের কারণে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের একাংশ গোপনে ইন্টারনেটে দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনেন। নাটক, সিনেমা দেখেন। আমেরিকার মিত্ররাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার ‘প্রভাব’ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কিম। তাই কয়েক বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার সরকার ধাপে ধাপে এ সংক্রান্ত আইন কড়া করেছে।
শুধু গান-নাটক-সিনেমা নয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে কনেদের প্রিয় সাদা রঙের পোশাকেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা! এরই পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নাগরিকদের উপর নজরদারিও বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া সরকার। ‘বিদেশি যোগাযোগ’ প্রমাণিত হলেই দেওয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি জেল বা কারাদণ্ডের সাজা! রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুক্রবার বলেন, ‘‘এমন অবস্থা চলতে থাকলে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকেরা আগের চেয়ে আরও বেশি দুর্ভোগ, নিপীড়ন এবং আতঙ্কের শিকার হবেন।’