Kedarnath Temple

কেদারে প্রতিবাদী পূজারী

গত ডিসেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ড সরকার চারধাম মন্দিরের ম্যানেজমেন্ট বোর্ড সংক্রান্ত বিল পাশ করে বিধানসভায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৬:১৬
Share:

ছবি সংগৃহীত

বারো দিন ধরে খালি গায়ে কেদারনাথ মন্দিরের সামনে বসে আছেন তিনি। চারধামের মন্দিরের কাজকর্মে পুরোহিতদের কোণঠাসা করে সরকার খবরদারি করতে চাইছে বলে তাঁর অভিযোগ। সন্তোষ ত্রিবেদী নিজে এক জন পুরোহিত। মন্দিরের সামনে বসেই তাঁর প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

Advertisement

গত ডিসেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ড সরকার চারধাম মন্দিরের ম্যানেজমেন্ট বোর্ড সংক্রান্ত বিল পাশ করে বিধানসভায়। শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে বিলটি পাশ হয় নামকরণে একটি পরিবর্তন সমেত। কী সেই পরিবর্তন? বিলে চারধাম শ্রাইন ম্যানেজমেন্ট-এর বদলে লেখা হয় চারধাম দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট। সেই মোতাবেক চারধাম মন্দির-সহ রাজ্যের মোট ৫১টি মন্দিরের জন্য গড়ে দেওয়া হয় চারধাম দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ড। পুরোহিতদের বক্তব্য, তাঁদের কার্যত অন্ধকারে রেখে সরকার তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে।

সন্তোষ ত্রিবেদী ধর্না দিয়েছেন। চারধাম মন্দিরের অন্য পুরোহিতরাও শীঘ্রই প্রতিবাদে শামিল হবেন বলে জানিয়েছে পুরোহিতদের সংগঠন, দেবভূমি তীর্থ পুরোহিত হাখাকুধারি মহাপঞ্চায়েত। বিজেপি-শাসিত রাজ্যে এ ভাবে পুরোহিতদের সরব হওয়াটা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

কেদারনাথ তীর্থ পুরোহিত মহাসভার প্রেসিডেন্ট বিনোদ শুক্ল জানান, ১২ জুন থেকে সন্তোষ মন্দিরে প্রার্থনার সময় দিনে তিন বার করে খালি গায়ে ধ্যানে বসছেন। নতুন বোর্ড সাসপেন্ড করা হোক, এটাই দাবি। দেবভূমি তীর্থ পুরোহিত মহাপঞ্চায়েতের মুখপাত্র ব্রিজেশ সতী জানালেন, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী ও বদ্রীনাথের পুরোহিতরাও প্রতিবাদে যোগ দেবেন বলে আলোচনা করছেন। নভেম্বর থেকে তাঁরা সরকারকে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়ে আসছেন। তার পরেও নতুন বোর্ড তৈরি হয়েছে। মন্দিরে ভক্তদের দানধ্যানের দিকে তাকিয়ে সরকার তার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছে বলে অভিযোগ।

নবগঠিত দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ড-এর সিইও রবিনাথ রমন বলেন, ‘‘প্রতিবাদ করাটা পুরোহিতদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তা নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। কিন্তু নতুন সরকারি বোর্ড সরকারি আইন মোতাবেক গঠিত হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন