দিল্লির দুর্গাপুজোর বিশেষ আকর্ষণ বাড়ির পুজো

শুধু কলকাতা-সহ বাংলায় নয়, দিল্লির দুর্গাপূজোতেও বাড়ির ঘরোয়া পুজো এবার আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নয় নয় করে ৫৪টি বাড়ির পুজো হচ্ছে। বারোয়ারি পূজোর জাঁকজমক না থাকলেও সেখানে বাজছে এক আন্তরিকতার সুর।

Advertisement

সুমনা কাঞ্জিলাল

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৫ ১৯:৪৭
Share:

শুধু কলকাতা-সহ বাংলায় নয়, দিল্লির দুর্গাপূজোতেও বাড়ির ঘরোয়া পুজো এবার আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নয় নয় করে ৫৪টি বাড়ির পুজো হচ্ছে। বারোয়ারি পূজোর জাঁকজমক না থাকলেও সেখানে বাজছে এক আন্তরিকতার সুর।

Advertisement

এ রকম কয়েকটি পুজোর আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যাচ্ছে এক এক পুজোর এক এক রকম আচারের কথা। যেমন চিত্তরঞ্জন পার্কের গুহরায় বাড়ির পুজোর কর্তা শান্তনু গুহরায় জানালেন, তাঁরা তাঁদের পুজোর কলাবউকে আলতা পরিয়ে বরণ করেন। ১০ বছর ধরে হচ্ছে এই পুজো। আগে বিভিন্ন থিম আশ্রয় করে প্রতিমা হলেও এ বার তাঁরা সাবেকি ডাকের সাজের প্রতিমা করছেন। প্রতিমা শিল্পী গোবিন্দ পাল। গুহরায় বাড়ির পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হল কুমারীপূজা। তাঁদের পুজোয় দু’জন পুরোহিত ও দু’জন ঢাকি আসেন মেদিনীপুর থেকে। ষষ্ঠী থেকে নবমী প্রায় ৪০০-৫০০ জন লোকের জন্য এখানে ভোগ খাওয়া্র ব্যবস্থা করেন তাঁরা। শান্তনুবাবু জানালেন, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী, সম্প্রতি প্রয়াত শুভ্রাদেবী তাঁর জীবনের শেষ অঞ্জলি এখানেই দিয়েছিলেন গত বছর। আবার তিহার জেলে বন্দী সাহারা কর্ণধার সুব্রত রায়কে গত পুজোয় তিন দিন ভোগ পাঠানো হয়েছিল এখান থেকেই।

প্রসঙ্গত, এলাকার যে সব বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বয়স ও অসুস্থতার কারণে বাইরে বেরোতে পারেন না,তাঁদের জন্য পুজোর দিনগুলোতে বাড়িতেই ভোগ পাঠানো্র ব্যবস্থা করে গুহরায় পরিবার।

Advertisement

চিত্তরঞ্জন পার্কের আরেকটা উল্লেখযোগ্য বাড়ির পুজো হোমচৌধুরী পরিবারের। আট বছর ধরে তাঁরা এই পুজো করছেন। পরিবারের কর্তা অনিরুদ্ধ হোমচৌধুরী জানালেন, কলকাতায় তাঁর মামা বাড়িতে ১০০ বছরের পুরোনো বাসন্তী পুজো দেখে তাঁরা দুই ভাই বোন মিলে এখানে দুর্গাপুজো করতে উৎসাহিত হন। তাঁদের প্রতিমা তৈরি করছেন সলিল ভট্টাচার্য। কলকাতা থেকে পুজো করতে আসছেন পুরোহিত রবীন ভট্টাচার্য। তাঁদের পুজো হয়ে থাকে নবদুর্গা মতে। বির্সজনের সময় তাঁরা বাড়ি থেকে কলাবউকে বিদায় দেন ঠিক বাঙালি মেয়েদের বিয়ের পর যেমন ঊলুধ্বনি করে ও চাল ছিটিয়ে পিত্রালয় থেকে বিদায় দেওয়া হয় তেমন ভাবে। এই বাড়ির পুজোতেও রোজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তবে বাইরের কোনও আমন্ত্রিত শিল্পী নয়, তাঁদের অনুষ্ঠানের কুশীলব হলেন পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনেরা। পুজোর প্রত্যেক রাতে পর্দা খাটিয়ে ও প্রোজেক্টর চালিয়ে বাংলা সিনেমা দেখার ব্যবস্থাও থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন