Arvind Kejrwal

Arvind Kejriwal: ‘ঝাড়খণ্ডেও হয়তো সরকার ফেলে দেওয়া হবে’, বিধানসভায় ‘আস্থা’ অর্জন করে দাবি কেজরীবালের

কেজরীবালের দাবি, দিল্লিতে ‘অপারেশন লোটাস’ ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর এক জন বিধায়ককেও বিজেপি তাদের শিবিরে নিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২২ ১৪:৫৪
Share:

অরবিন্দ কেজরীবাল- ফাইল চিত্র।

তাঁর সরকারের পক্ষে আনা আস্থা প্রস্তাবে ‘স্বাভাবিক ভাবেই’ জয়ী হওয়ার পর দিল্লি বিধানসভা থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দাগলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। একের পর এক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকার ফেলা থেকে দেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, বিভিন্ন বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। কেজরীবাল বলেন, “জনকল্যাণে নজর দেওয়ার পরিবর্তে বিজেপির সরকার কোটিপতি বন্ধুদের সাহায্য করার দিকে মনোনিবেশ করেছে।”

Advertisement

Advertisement

ঝাড়খণ্ডেও বিরোধী সরকারকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হতে পারে এই অভিযোগ তুলে কেজরীবাল বলেন, “কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পর এ বার ঝাড়খণ্ডেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।” বিরোধী-শাসিত রাজ্যের সরকার ভাঙার পরিকল্পনার সঙ্গে অর্থনীতির অধোগতির যোগসূত্রের দিকে ইঙ্গিত করে কেজরীবাল বলেন, “প্রতি বার রাজ্যগুলিতে সরকার ভাঙার পরিকল্পনা করা হয়, আর জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়।”

তাঁর সরকারকে ভাঙার জন্যও বিজেপি প্রায় ৮০০ কোটি টাকা নিয়ে নেমেছিল বলে অভিযোগ করেছেন আপ প্রধান। কেজরীবালের দাবি, দিল্লিতে ‘অপারেশন লোটাস’ ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর এক জন বিধায়ককেও বিজেপি তাদের শিবিরে নিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন তিনি।

কেন তিনি নিজের সরকারের হয়েই আস্থা প্রস্তাব আনলেন, তার ব্যাখ্যা দিয়ে কেজরীবাল বলেন, “বিজেপি জিজ্ঞাসা করছে, কেন এটার প্রয়োজন পড়ল? কিন্তু এই আস্থা প্রস্তাব প্রমাণ করল, এই সরকার (দিল্লি সরকার) শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত আছে।”

প্রসঙ্গত, তাঁর দলের প্রত্যেক বিধায়কই যে তাঁর সঙ্গে আছেন, তার প্রমাণ দিতেই শুক্রবার দিল্লি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিজের সরকারের হয়ে আস্থা প্রস্তাব আনার কথা জানিয়েছিলেন কেজরীবাল। বিজেপি পাল্টা কটাক্ষ করে জানিয়েছিল, আবগারি-দুর্নীতি থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই আপ এই সব ‘নাটক’ করছে। ৭০ আসনবিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় আপের ৬২ জন এবং বিজেপির আট জন বিধায়ক রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন