National News

কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয়ের বার্তা কেজরীবালের, আজ অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক

সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলা হলেও রাজনৈতিক শিবিরের পর্যবেক্ষণ, দিল্লির উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক নানা প্রকল্প নিয়ে কথা হতে পারে দু’জনের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:১৫
Share:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (বাঁ দিকে) ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। —ফাইল চিত্র

মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ভোট শেষ, রাজনৈতিক বৈরিতাও শেষ।’’ কেন্দ্রের সঙ্গে সেই ‘বন্ধুত্ব’-এর বার্তা ফের দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরে গিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। এই বৈঠক সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে অমিত ও কেজরি দু’তরফেই জানানো হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক শিবিরের পর্যবেক্ষণ, দিল্লির উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক নানা প্রকল্প নিয়ে কথা হতে পারে দু’জনের।

Advertisement

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রামলীলা ময়দানে শপথ নিয়ে অরবিন্দ কেজরীবাল বলেছিলেন, ভোটপ্রচারের সময় তাঁদের বিরুদ্ধে যাঁরা কথা বলেছিলেন, তাঁদের তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন। বিজেপি নেতারাও যেন তাঁদের ক্ষমা করেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধিতা না করে বরং দিল্লির উন্নয়নের প্রশ্নে সমন্বয় রেখেই কাজ করতে চান তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদ প্রার্থনাও করেছিলেন দিল্লির পর পর তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী।

দিল্লির ভোটপ্রচার পর্বে বিজেপি শিবিরের নেতা ছিলেন অমিত শাহ। আম আদমি পার্টি (আপ) সুপ্রিমো কেজরীবাল সহ অন্যান্য নেতাদের আক্রমণও করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই। তিনি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এনে ব্যাপক প্রচার করেছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটের পর আর সে সব মনে রাখতে চাননি কেজরীবাল। সেই আবহেই আজ দিল্লিতে অমিত শাহের দফতরে যাচ্ছেন কেজরীবাল। সেখানেই দু’জনের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে দুপক্ষেরই বক্তব্য, নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে আসুন, অমিতকে বার্তা মেহবুবা-কন্যার

আরও পডু়ন: তাপস রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, বিস্ফোরক মমতা

৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে আম আদমি পার্টি। কেজরীবালের দলের আসন সংখ্যা ৬২। উল্টো দিকে দুই অঙ্কেও পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। দলের হাতে মাত্র আটটি আসন। অন্য দিকে কংগ্রেস ২০১৫ সালের মতোই একটি আসনও পায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন