National News

দিল্লির যাবতীয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেও ভোটে বিধি বাম

নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির যাবতীয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে বিভিন্ন বাম সংগঠন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

সাংবাদিক সম্মেলনে শুরুতেই আম আদমি পার্টি এবং অরবিন্দ কেজরীবালের জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন সীতারাম ইয়েচুরি। বললেন, ‘‘আম আদমি পার্টির জয় ও বিজেপির পরাজয়ের জন্য দিল্লির মানুষকে অভিনন্দন।’’

Advertisement

প্রশ্ন উঠল, বিজেপি ও আপ দ্বিমুখী লড়াইয়ে দিল্লিতে বামেদের তো অস্তিত্বই নেই। সিপিআই দিল্লিতে মোট ভোটের ০.০২%ভোট পেয়েছে। সিপিএম আরও কম। ০.০১%। অর্থাৎ ১০ হাজার জনে মাত্র একজন সিপিএমকে ভোট দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূল বনাম বিজেপি লড়াইতে সিপিএম তথা বামেদের একই হাল হবে না তো? সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘দিল্লি ও বাংলা এক নয়।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘ভোটের আগে পর্যন্ত দিল্লির ভোট মোটেই দ্বিমুখী লড়াই ছিল না।’’’ বাস্তব হল, দিল্লির ভোটের ফলাফল চিন্তায় ফেলে দিয়েছে সিপিএম তথা বাম নেতৃত্বকে।

নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির যাবতীয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে বিভিন্ন বাম সংগঠন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। দিল্লিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে ফি বৃদ্ধি বিরোধী আন্দোলনেও বাম ছাত্র সংগঠনগুলিই নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে বিজেপি নেতারা এ জন্য কংগ্রেসের পাশাপাশি বামেদের ‘ইকোসিস্টেম’কে নিশানাও করেছেন। কিন্তু ভোটের ফল বেরোতে দেখা গিয়েছে, সিপিআই-সিপিএম মিলে দিল্লির আধ শতাংশ ভোটও পায়নি। যাঁরা প্রতিবাদে ছিলেন, তাঁরা সিপিএমকে ভোট দিলেন না কেন? ইয়েচুরির জবাব, ‘‘দিল্লির ভোটের ফল নিয়ে দিল্লির সিপিএম নেতৃত্ব বলবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জের মুখে অমিত শাহের ‘চাণক্য’ তকমা

দিল্লির সিপিএম নেতারা বলছেন, মানুষ বোধহয় বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগ হতে দিতে চাননি। তাই যে-সব বামপন্থী সিএএ-এনআরসি বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন, তাঁরাও আপ-কেই ভোট দিয়েছেন। প্রশ্ন, একই কারণে তো বাংলাতেও সিএএ-এনআরসি নিয়ে ক্ষুব্ধ মানুষ বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগাভাগি দিতে চাইবেন না। তাঁরা তৃণমূলকেই ভোট দেবেন। তবে ২০২১-এ বামেদের কী হাল হবে?

সিপিএমের পলিটব্যুরোর এক নেতার ব্যাখ্যা, দিল্লিতে কেজরীবাল সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের তেমন ক্ষোভ ছিল না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ তুঙ্গে। বিজেপি তার ফায়দা নিতে চায়। দ্বিমুখী লড়াই হলে বিজেপিরই লাভ। বাম-কংগ্রেস মিলে কি তা হলে তৃণমূল-বিরোধী ভোট ভাগাভাগি করে বিজেপিকে সুবিধা করে দেবে? এ প্রশ্নে আপাতত মুখে কুলুপ সীতারাম ইয়েচুরির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন