Cash for Query Case

‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় মহুয়ার আর্জিতে সাড়া, চার্জশিট সংক্রান্ত লোকপালের নির্দেশ খারিজ করল দিল্লি হাই কোর্ট

গত ১২ নভেম্বর লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সিবিআইকে মহুয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫
Share:

মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের স্বস্তি। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে বলেছিল লোকপাল। লোকপালের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্ট লোকপালের নির্দেশ খারিজ করে বিষয়টি নতুন করে খতিয়ে দেখতে বলেছে।

Advertisement

শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ভ্রান্তি ছিল লোকপালের। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার এক সপ্তাহের মধ্যে লোকপালকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে দিল্লি হাই কোর্ট।

সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় আগেই মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করেছে এবং বিস্তারিত রিপোর্ট লোকপালের দফতরে জমা দিয়েছে। তদন্তে যা যা উঠে এসেছে, রিপোর্টে তা ব্যাখ্যা করে সিবিআই মহুয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল। গত ১২ নভেম্বর লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সিবিআইকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি দেয়। বলা হয়, চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট আদালতে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। আদালতে লোকপালের নির্দেশ বাতিলের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশও চান। মহুয়ার আর্জি ছিল, যত দিন বিষয়টি দিল্লি হাই কোর্টে বিচারাধীন, তত দিন যেন সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না-করে, তা নিশ্চিত করা হোক।

Advertisement

গত ২১ নভেম্বর মহুয়ার আর্জি সত্ত্বেও লোকপালের নির্দেশে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি দিল্লি হাই কোর্ট। ওই দিন রায়দান স্থগিত রাখা হয়। শুক্রবার অবশ্য লোকপালের চার্জশিট সংক্রান্ত নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি সংসদে প্রশ্ন করেছেন। নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই মহুয়া এই কাজ করেছেন। এই অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়াকে সাংসদপদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছিলেন নিশিকান্ত। এ ছাড়া, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও।

সিবিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ঘুষ নিয়ে সংসদে মোট ৬১টি প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া। তার মধ্যে তিনটি প্রশ্ন করা হয়েছিল সামনাসামনি, অফলাইন মাধ্যমে। বাকি প্রশ্নগুলি অনলাইনে আপলোড করা হয়েছিল। হীরানন্দানি নিজেই হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, মহুয়ার সংসদের লগ ইন আইডি জেনে তাতে প্রশ্ন পোস্ট করতেন তিনি। এই ঘটনায় এথিক্স কমিটির সুপারিশ মেনে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার লোকসভার সাংসদপদ খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে ওই কেন্দ্র থেকে জিতেই আবার সাংসদ হন মহুয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement