Adolescent Relationship

কৈশোরে পকসো আইনের ভয় নয়, প্রেমের স্বাধীনতা থাকা উচিত! পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের

বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে প্রেম করার স্বাধীনতা থাকা উচিত। আইনি ব্যবস্থার উচিত কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষার পাশাপাশি তাদের ভালবাসার অধিকারকেও সুরক্ষিত করা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৭
Share:

বয়ঃসন্ধিকালের প্রেম নিয়ে পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বয়ঃসন্ধিকালে দু’জনের সম্মতিতে প্রেম করার স্বাধীনতা থাকা উচিত। এ ক্ষেত্রে কারও মনে পকসো আইনের (নাবালক-নাবালিকাদের যৌন হেনস্থা থেকে সুরক্ষার আইন) ভয় থাকা উচিত নয়। সম্প্রতি এক মামলায় এ কথা জানিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement

পকসো আইন অনুসারে, ১৮ বছরের কম বয়সিদের পরস্পরের সম্মতিতে যৌন সম্পর্কও অপরাধের আওতায় পড়ে। সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি জসমিত সিংহ। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, বিচারপতি সিংহের পর্যবেক্ষণ, “আমি মনে করি সমাজ এবং আইনের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে নির্যাতনমুক্ত প্রেমের সম্পর্কের উপর গুরুত্ব দেওয়া। প্রেম মানুষের একটি মৌলিক অভিজ্ঞতা। কিশোর-কিশোরীদের আবেগে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার রয়েছে। আইন এমন হওয়া উচিত, যাতে এই ধরনের সম্মতিপূর্ণ সম্পর্কগুলি আইনি স্বীকৃতি এবং সম্মান পায়।”

দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে, কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সম্পর্কে সম্মতির জন্য আইনি বয়স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সম্মতিমূলক কোনও সম্পর্ককে অপরাধ হিসাবে বিবেচনার বদলে হেনস্থা এবং নির্যাতন ঠেকাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করছে আদালত। মূলত, বয়ঃসন্ধিকালের কিশোর-কিশোরীদের প্রসঙ্গেই এই মন্তব্য করেছে আদালত। হাই কোর্ট জানিয়েছে, “আইনি ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যাতে কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষার পাশাপাশি তাদের ভালবাসার অধিকারকেও নিশ্চিত করা যায়।” এ ক্ষেত্রে একটি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন রয়েছে বল মত বিচারপতির।

Advertisement

‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টে একই ধরনের মতামত উঠে এসেছে। বয়ঃসন্ধিকালে দু’পক্ষের সম্মতিতে সম্পর্ককে যৌন হেনস্থা বলা নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে কলকাতা হাই কোর্ট। ন্যূনতম বয়সসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার জন্য আইনি সংশোধনের প্রয়োজনের কথাও সেই সময় জানায় আদালত। ২০২১ সালে মাদ্রাজ হাই কোর্টও একই কথা বলেছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement