National news

‘১৮ বছরে ১৭ বার পাকিস্তানে গিয়েছি’, স্বীকারোক্তি দিল্লির আইএসআই চরের

পুলিশের দাবি, জেরার মুখে পারভেজ স্বীকার করেছে, চরবৃত্তির কাজে গত আঠারো বছরের মধ্যে সতেরো বার পাকিস্তানে গিয়েছে সে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ১৮:২৯
Share:

ভারতীয় সেনার আধিকারিকদের ফাঁসিয়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচারে মধুচক্রকেও কাজে লাগাত পারভেজ। প্রতীকী ছবি।

ভুয়ো পরিচয়ে ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের কাছ থেকে তথ্য আদায় করাই ছিল তার কাজ। এর পর সে তথ্য পাচার করত পাকিস্তানে। সেনার আধিকারিকদের ফাঁসাতে মধুচক্রকেও কাজে লাগাত সে।

Advertisement

গত ১৮ বছর ধরে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে এমনটাই করে আসছিল দিল্লির বাসিন্দা মহম্মদ পারভেজ। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল সে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে পারভেজ স্বীকার করেছে, চরবৃত্তির কাজে গত আঠারো বছরের মধ্যে সতেরো বার পাকিস্তানে গিয়েছে সে।

সোমবার আইএসআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃ়ত্তির অভিযোগে ৪২ বছরের পারভেজকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। এ দিন জয়পুর কোর্টে তোলা হলে পারভেজের চার দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

রাজস্থান পুলিশের এডিজি (ইনটেলিজেন্স) উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন, দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য পারভেজকে আগেই গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ২০১৭ থেকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিল সে। গত কাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জয়পুরে আনা হলে সেখানেই পারভেজকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।

আরও পড়ুন: আডবাণী এখনও নীরবই, টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ কিন্তু গোপন রাখলেন না জোশী

আরও পড়ুন: ‘অত্যন্ত গুরুতর’, রাজীব জেরার রিপোর্ট দেখে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির

উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন, মধুচক্রের সাহায্যে সেনা আধিকারিকদের ফাঁসিয়ে তাঁদের কাছ থেকে গোপন নথিপত্র হাতিয়ে নিত পারভেজ। এর পর মোটা টাকার বিনিময়ে সে সব গোপন নথিপত্র আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিত সে। দীর্ঘ দিন ধরেই নিজের পরিচয় দিয়ে গোপন করে এমন কাজ করছিল পারভেজ। আইএসআই হ্যান্ডলারদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার। জেরার মুখেই পারভেজের স্বীকারোক্তি, “আঠারো বছরে সতেরো বার পাকিস্তানে গিয়েছি।”

আরও পড়ুন: জল্পনায় ছিল মোদীর নাম, সেই কেন্দ্রে ২৮ বছরের তরুণ! ঘোর কাটছে না প্রার্থীর

আরও পড়ুন: কেমন কাজ করল মোদী সরকার? সমীক্ষা বলল, প্রায় সব ক্ষেত্রে মাঝারিরও নীচে নম্বর দিচ্ছেন মানুষ

ঠিক কী ভাবে যোগাযোগ করত আইএসআই হ্যান্ডলারদের সঙ্গে? পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের থেকে দ্রুত ভিসা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকজনের মোবাইলের সিম কার্ডের ছবি ও পরিচয়পত্র জোগাড় করত সে। এর পর সিম কার্ড বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে সেই মোবাইল নম্বরগুলি অ্যাক্টিভেট করে ফেলত। সেই মোবাইল নম্বরের সাহায্যেই আইএসআই হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত পারভেজ।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন