Delhi Mayor Election

তিন বারের চেষ্টাতেও নতুন মেয়র পেল না দিল্লি, আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে আপ

আদালতের নজরদারিতে মেয়র নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ। খুব শীঘ্রই আপ এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৬
Share:

মেয়র নির্বাচন ঘিরে উত্তাল দিল্লির পুরনিগম। ছবি: পিটিআই।

ভোটপর্ব মিটে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। তার পর থেকে তিন বারের চেষ্টাতেও নতুন মেয়র পায়নি দিল্লিবাসী। উল্টে মেয়র নির্বাচন নিয়ে প্রতিবারই পৌরসভায় হাতাহাতিতে জড়িয়েছে আপ এবং বিজেপি। এ বার আদালতের নজরদারিতে মেয়র নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। খুব শীঘ্রই তাঁরা এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এর আগে দু’বার মেয়র নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু যুযুধান দু’পক্ষের হাতাহাতি, মারামারিতে দু’বারই মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার তৃতীয় বার নির্বাচনের জন্য দু’দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এ বারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায়, মেয়র নির্বাচন ঘিরে রাজধানীতে জট রয়েই গেল।

Advertisement

মেয়র নির্বাচনের জন্য প্রথম বার দিল্লি পুরনিগমের অধিবেশন ডাকা হয় ৬ জানুয়ারি। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায় আপ এবং বিজেপি সদস্যদের বিক্ষোভের কারণে। দ্বিতীয় বার অধিবেশন ডাকা হয় ২৪ জানুয়ারি। কিন্তু সে বারও দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির জেরে এই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর পুরনিগমের ভোট ছিল। দিল্লি পুরনিগম আইন, ১৯৫৭ অনুযায়ী নির্বাচনের পরই প্রথম অধিবেশনেই মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে ২মাস কেটে গেলেও মেয়র নির্বাচন করতে পারেনি পুরনিগম।

৬ জানুয়ারি দিল্লির মেয়র নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু সে দিন অধিবেশনের শুরুতেই হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায় আপ এবং বিজেপির প্রতিনিধিদের মধ্যে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা মেয়র নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেন। গত ৬ জানুয়ারি দিল্লির মেয়র নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু সে দিন অধিবেশনের শুরুতেই হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায় আপ এবং বিজেপির প্রতিনিধিদের মধ্যে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা মেয়র নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেন। কিন্তু সেই অধিবেশনও ভন্ডুল হয়ে যায়।

গত ডিসেম্বরে হওয়া পুর নির্বাচনে দিল্লি পুরনিগমের ২৫০টি আসনের মধ্যে আপ পেয়েছিল ১৩৪টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ১০৪টি আসন। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা আগেই পুরসভায় ১০ জনকে মনোনীত সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল আপ। এর পরই আপ নেতৃত্ব প্রশ্ন তোলেন দিল্লি সরকারকে এড়িয়ে কী ভাবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে তাঁদের মেয়র নির্বাচনের ভোটাধিকার দিতে পারেন। যা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। সেই জের গড়াল এ বার শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন