Delhi Riots

অশান্তি পাকিয়ে বাংলাদেশ এবং নেপালের মতো সরকার ফেলে দিতে চেয়েছিলেন! কোর্টে উমর, শারজিলদের নিয়ে বলল পুলিশ

দিল্লি হিংসার মামলায় অভিযুক্তদের বক্তব্য ইতিমধ্যে শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বার দিল্লি পুলিশের বক্তব্য শোনা হচ্ছে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ২১:২১
Share:

(বাঁ দিকে) শারজিল ইমাম এবং উমর খালিদ (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

দিল্লি হিংসা মামলায় অভিযুক্ত উমর খালিদ, শারজিল ইমামদের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে এ বার পড়শি দেশগুলির প্রসঙ্গ টানল পুলিশ। অভিযুক্তদের ‘ষড়যন্ত্রের’ গভীরতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলাদেশ এবং নেপালের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি পুলিশের দাবি, অশান্তি পাকিয়ে বাংলাদেশ এবং নেপালের মতো এ দেশেও সরকার বদলে ফেলতে চেয়েছিলেন অভিযুক্তেরা।

Advertisement

২০২০ সালের দিল্লি হিংসা মামলায় ছাত্রনেতা উমর, শারজিল ছাড়াও গ্রেফতার হন মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা, শিফা উর রহমান, মহম্মদ সেলিম খান এবং শাদাব আহমেদ। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর ধারা যুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁদের জামিনের আর্জির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চে। সেখানে দিল্লি পুলিশের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। সেখানে অভিযুক্তদের ভূমিকা বোঝাতে গিয়েই দুই পড়শি দেশের প্রসঙ্গ টানেন পুলিশের আইনজীবী।

আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ অনুসারে, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের সওয়াল, “এটি নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-র বিরুদ্ধে কোনও সাধারণ ধর্না ছিল না। এটি করা হয়েছিল সরকার বদলে দেওয়ার জন্য। যাঁরা ধর্নায় গিয়েছিলেন, তাঁদের সকলের হাতে লাঠি, অ্যাসিডের বোতল ছিল।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের সময়েই যে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল, তা-ও উল্লেখ করেন তিনি। রাজুর কথায়, “তাঁরা (অভিযুক্তেরা) বাংলাদেশ এবং নেপালের মতো সরকার বদলে দিতে চেয়েছিলেন। সংবিধানের প্রতি তাঁদের বিশেষ শ্রদ্ধা নেই।”

Advertisement

দিল্লি হিংসার মামলায় অভিযুক্তদের বক্তব্য ইতিমধ্যে শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বার দিল্লি পুলিশের বক্তব্য শোনা হচ্ছে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার উমর, শারজিলদের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে মেধাজীবীদের দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গ টানেন দিল্লি পুলিশের আইনজীবী। রাজু জানান, মেধাজীবীরা যখন সন্ত্রাসবাদী হয়ে যান, তখন তাঁরা লড়াইয়ের ময়দানে থাকা জঙ্গিদের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement