National news

জোর করে বিজোড় নম্বরের গাড়ি নামিয়ে জরিমানা দিলেন বিজেপি সাংসদ, পেলেন ফুলের তোড়া

দিল্লিতে সোমবার সকালে এই ঘটনার পর, আর এক দফা নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় গয়ালের বাড়িতে, আপের মন্ত্রী ফুলের তোড়া হাতে সেখানে পৌঁছে যাওয়ার পর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৪৭
Share:

বিজয় গোয়েলের গাড়ি আটকে জরিমানা নিচ্ছে পুলিশ।

জোড়-বিজোড় নীতি অমান্য করে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে, চার হাজার টাকা জরিমানা দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ বিজয় গয়াল। দিল্লিতে সোমবার সকালে এই ঘটনার পর, আর এক দফা নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় গয়ালের বাড়িতে, আপের মন্ত্রী ফুলের তোড়া হাতে সেখানে পৌঁছে যাওয়ার পর।

Advertisement

সোমবার থেকে দিল্লির রাস্তায় ফের জোড়-বিজোড় নীতি চালু হল। চার নভেম্বর তারিখটা জোড় সংখ্যা, তাই এ দিন শুধুমাত্র জোড় সংখ্যার নম্বরের চারচাকার প্রাইভেট গাড়ি রাস্তায় বেরনোর অনুমতি রয়েছে। এই নিয়ম চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।

এ দিন বিজেপি সাংসদ বিজয় গয়াল জোড়-বিজোড় নীতির ‘প্রতিবাদ করতে’, নিজের বিজোড় নম্বরের গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বার হন। কমলা রঙের সেই গাড়ির গায়ে নানা স্নোগানও লেখা ছিল। তবে তাঁর ১০ নম্বর অশোক রোডের বাড়ি থেকে বেশি দূর এগোতে পারেননি, ১০০ মিটারের মধ্যেই তাঁকে আটকায় দিল্লি পুলিশ। জোড়-বিজোড় নীতি অমান্য করার জন্য তাঁকে চার হাজার টাকা স্পট ফাইনও দিতে হয়। বিজয় গয়াল তাঁর এই আইন অমান্যকে ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি’ বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পরিস্থিতি উন্নতির কোনও লক্ষণ নেই, বিষ-বাতাসে আজও ‘বিপজ্জনক’ দিল্লি

কিন্তু ঘটনাসূচি এখানেই থামেনি। প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরার কিছু পরেই, গয়ালের বাসভবনে গোলাপের তোড়া নিয়ে হাজির হন দিল্লির আপ সরকারের পরিবহণমন্ত্রী কৈলাস গহলৌত। বিজয় গয়ালের হাতে সেই ফুল দিয়ে তিনি অনুরোধ জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণে দিল্লি সরকারের জোড়-বিজোড় নীতিকে তিনি যেন সমর্থন করেন।

&

গয়াল অবশ্য পাল্টা দু’কথা শোনাতে ছা়ড়েননি আপ মন্ত্রীকে। তাঁর হাতে পাল্টা একটি ফুলের তোড়া দিয়ে বিজয় গয়াল বলেন, “পাঁচ বছর ধরে আপনাদের সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। যদি পঞ্জাব এবং হরিয়ানার খড়কুটো পোড়ানোর অভ্যাসই (আম আদমি পার্টির মূল অভিযোগ এটাই) দায়ী হয় দূষণের জন্য, তা হলে জোড়-বিজোড় নীতি কী ভাবে সাহায্য করবে।” জবাবে গেহলৌত বলেন, “পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলেও, এই নীতিতে যদি ৫০ শতাংশ গাড়ি রাস্তায় না বার হয়, তাহলে দূষণও অনেকটা কমবে বলা যেতে পারে।”

আরও পড়ুন: সরোবরের জলে ভেসে উঠছে মরা কচ্ছপ-মাছ! ভোটের জন্য সবাই চুপ, বলছেন পরিবেশবিদরা

উত্তরে বিজয় গোয়েলের মন্তব্য, সমস্ত গাড়ির ক্ষেত্রে তো এই নিয়ম মানা হয়নি... দু’চাকার গাড়ি, অ্যাপ ক্যাব, ট্যাক্সি রাজনৈতিক স্বার্থে এগুলোতে এর বাইরে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রেই এই নীতি প্রযোজ্য। এটা ‘নাটক’ ছাড়া আর কিছু নয়।

ছবি: টুইটার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন