Delhi (Amendment) Bill

দিল্লি ‘দখলের’ পর্ব শেষ মোদীর, আমলাদের রাশ হাতে রাখার বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী

গত ৩ অগস্ট লোকসভা এবং ৭ অগস্ট রাজ্যসভায় ‘জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩’ পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাষ্ট্রপতি সই করায় তা এ বার আইনে পরিণত হল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ১৩:২৪
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। — ফাইল চিত্র।

বাদল অধিবেশনেই পাশ হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষে। এ বার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেন ‘জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩’-এ। ফলে দিল্লির আমলা নিয়োগ এবং বদলি সংক্রান্ত সেই বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স এ বার পরিণত হল পুরোদস্তুর আইনে।

Advertisement

দিল্লি বিলের পাশাপাশি, লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হওয়া ব্যক্তিগত ডিজিটাল ডেটা সুরক্ষা বিল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) বিল, এবং জন বিশ্বাস (বিধান সংশোধন) বিলে রাষ্ট্রপতি সই করেছেন বলে শনিবার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর মধ্যে ‘জন বিশ্বাস’ বিলে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অপরাধকে লঘু করে কারাবাসের নিদান তুলে দিয়ে বড় বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে মোদী সরকার সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

শীর্ষ আদালত জুলাই মাসে জানিয়েছিল, অর্ডিন্যান্সের সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে যাচাই করা হবে, এ বিষয়ে সংসদের অধিকারের সীমাও। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি বিল পাশ করিয়ে ‘দিল্লি দখলের’ জন্য কেন্দ্রের ব্যগ্রতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আম আদমি পার্টি (আপ)-সহ বিরোধীরা বিলকে ‘অসাংবিধানিক’ বলেছে। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছেন , ‘‘দিল্লিতে সুষ্ঠু পরিষেবার স্বার্থেই এই আইন প্রয়োজন।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। এর পর হঠাৎ গত ১৯ মে গভীর রাতে অর্ডিন্যান্স এনে সুপ্রিম কোর্টের রায় পাশ কাটিয়ে দিল্লির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথ প্রশস্ত করে মোদী সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন