Delhi Violence

‘গুজরাত-মডেল’ দিল্লিতেও: কংগ্রেস

কিন্তু দিল্লির হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল তাদের রিপোর্টে জানাল, অমিত শাহের অধীনে দিল্লি পুলিশকে গোড়ায় নিষ্ক্রিয় করে রেখে হিংসা ছড়াতে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২০ ০৩:০২
Share:

—ফাইল চিত্র

হোলির ঠিক আগে এক কাশ্মীরি দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ দাবি করেছে, আইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দিল্লিতে সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলন ছ়ড়ানো হচ্ছিল। বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা বি এল সন্তোষ (আরএসএস থেকে আসা) আজ টুইট করেন, ‘‘দিল্লির হিংসা আচমকা হয়নি, উস্কানিতেও হয়নি। পুরোটাই পূর্বপরিকল্পিত।’’

Advertisement

কিন্তু দিল্লির হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল তাদের রিপোর্টে জানাল, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে স্পষ্ট, গুজরাতের ধাঁচেই হিংসা ছড়ানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে দিল্লি পুলিশকে গোড়ায় নিষ্ক্রিয় করে রেখে হিংসা ছড়াতে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার সব জেনেও চুপ ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের সময়েই ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে। সে কারণে সুপ্রিম কোর্ট কিংবা হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত চায় কংগ্রেস।

দিল্লির দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের গুজরাতের নেতা শক্তিসিন গাহিল বলেন, ‘‘গুজরাতের দাঙ্গার মতোই দিল্লিতেও প্রথমে বাইরে থেকে লোক এসে গুজব ছড়ায়। উস্কানি দেয়। আসল হিংসার সময় তারা গায়েব হয়ে যায়। শুরুতে পুলিশকে বলা হয়, কোনও পদক্ষেপ নয়। হিংসা বাড়তে দেওয়া হয়। তার পর হিংসা বেড়ে গেলে সম্প্রদায় চিহ্নিত করে অত্যাচার, নৃশংসতা শুরু হয়।’’ সুস্মিতা দেবের কথায়, ‘‘হিংসা যে পরিকল্পিত, তার অনেক প্রমাণ আছে।’’ সনিয়া গাঁধীর নির্দেশে গঠিত কমিটির সদস্য মুকুল ওয়াসনিক, শক্তিসিন গাহিল, সুস্মিতা দেব, শৈলজা, তারিক আনোয়ারেরা আজ সকালে ১০, জনপথে গিয়ে রিপোর্ট জমা দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: জনতা বলছে, যুদ্ধ চাই না

মোদী সরকারের মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা কয়েক দিন ধরে অভিযোগ করছেন, দিল্লির হিংসা ছড়িয়েছে সনিয়া গাঁধী-রাহুল গাঁধী-প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাদের উস্কানিতেই। সংসদে নাগরিকত্ব আইন পাশের তিন দিনের মাথায় দিল্লির রামলীলায় তাঁরা ‘এসপার-ওসপার’ লড়াইয়ের ডাক দেন। কংগ্রেস নেতারা আজ পাল্টা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীই প্রথম পোশাক দেখে দুষ্কৃতী চেনার কথা বলেন। শাহিন বাগে শক দেওয়ার কথা বলেনঅমিত শাহ।’’ মুকুল ওয়াসনিকের মতে, ৬৯০টি এফআইআর হল, অথচ অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্র, প্রবেশ বর্মাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন