—প্রতীকী চিত্র।
দুই সন্তান নিয়ে স্ত্রী থাকেন গ্রামের বাড়িতে। কাজের সূত্রে স্বামী থাকতেন শহরে। সেখানেই আলাপ এবং প্রেম এক তরুণীর সঙ্গে। ভাড়াবাড়িতে লিভ ইন করতেন তাঁরা। শনিবার রাতে সেই লিভ ইন সঙ্গীর হাতেই খুন হলেন ৪০ বছর বয়সি হরিশ শর্মা। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ়-৩ এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানার গুরুগ্রামের বালিয়াওয়াস গ্রামের বাসিন্দা হরিশ বিবাহিত। গ্রামের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যাসন্তান থাকেন। শহরে একটি ভাড়াবাড়িতে প্রেমিকার সঙ্গে থাকতেন হরিশ। বছর খানেকের সম্পর্ক তাঁদের। ওই যুবতীর নাম যশমীত কৌর। শনিবার রাতে ২৭ বছরের যশমীত খুন করেন হরিশকে। কারণ, যুবক ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে জোর কথা কাটাকাটি হয় যুগলের। তার আগে হরিশের সঙ্গে স্ত্রীর কথা হচ্ছিল ফোনে। কেন স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন, তাই নিয়ে অনুযোগ করেন প্রেমিকা। হরিশ জানান, স্ত্রীর শরীর ভাল নেই। তাই খবরাখবর নিচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। শুরু হয় ঝগড়া। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎ রান্নাঘর থেকে সব্জি কাটার ছুরি তুলে নিয়ে এসে সোজা হরিশের বুকে বসিয়ে দেন যশমীত। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রেমিককে কাতরাতে দেখে ‘হুঁশ ফেরে’ যুবতীর। হরিশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু প্রচুর রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় ৪০ বছরের যুবকের। ইতিমধ্যে প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, ওই ভাড়াবাড়ির আর একটি ঘরে থাকেন হরিশের বন্ধু বিজয় শেঠি। ঘটনার সময় তাঁর কী ভূমিকা ছিল এবং এই খুনে তার হাত ছিল কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবতী আদতে দিল্লির অশোকনগরের বাসিন্দা। তিনি ইতিমধ্যে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। যে ছুরি দিয়ে প্রেমিককে হত্যা করেছেন, সেটি তদন্তকারীরা পেয়েছেন। ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি রক্তমাখা টি শার্ট।