Baba Ka Dhaba

অতিরিক্ত মদ্যপান আর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ‘বাবা কা ধাবা’ মালিকের

গত বছর অতিমারির সময়ে গৌরব নামে এক ফুড ব্লগারের একটি ভিডিয়োতেই ভাগ্য ফিরেছিল কান্তার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২১ ১৬:১০
Share:

ছবি- পিটিআই

আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন দিল্লির ‘বাবা কা ধাবা’-র মালিক কান্তা প্রসাদ। বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ তাঁকে সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে খবর দিল্লি পুলিশ সূত্রে। অত্যধিক মদ্যপানের পর ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন কান্তার ছেলে। কিন্তু কেন হঠাৎ আত্মহত্যা করতে গেলেন কান্তা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

কান্তার স্ত্রী বাদামি দেবী বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানি না। কী খেয়েছে, আমি সত্যিই জানি না। কিছুই দেখিনি। আমি তো ধাবায় ছিলাম। চিকিৎসকরা কিছুই বলেননি। বুঝতেই পারছি না, ওঁর মাথায় কী চলছে।’’

কয়েকদিন আগেই কান্তার আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, ৮১ বছরের ‘বাবা কা ধাবা’-র মালিক অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে গৌরব ওয়াসনের কাঁছে ক্ষমা চাইছেন আর বলছেন, ‘‘গৌরব চোর নয়।’’ গত বছর অতিমারির সময়ে গৌরব নামে ওই ফুডব্লগারের একটি ভিডিয়োতেই ভাগ্য ফিরেছিল কান্তার।

Advertisement

ওই একটি ভিডিয়োই স্বপ্নের মতো বদলে দিয়েছিল কান্তা ও তাঁর স্ত্রী বাদামি দেবীর ৩০ বছরের জীবন। রাতারাতি বদলে গিয়েছে দোকানের ছবিটা। সংবাদমাধ্যম থেকে স্থানীয় বিধায়ক– কত মানুষ এসেছেন। যাঁরা খাবার খেয়েছেন তাঁদের অনেকেই আবার ছবি তুলে নেটমাধ্যমে পোস্ট করে অন্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকে তাঁকে আর্থিক সাহায্যও করেন। সেই সাহায্যের টাকায় নিজের একটি রেস্তরাঁও খুলেছিলেন কান্তা। আর সেই সময়ে গৌরবের বিরুদ্ধে সাহায্যের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে ফের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বাবা কা ধাবার মালিক। গ্রেফতার হয়েছিলেন গৌরব। কান্তার রেস্তরাঁও টেকেনি। মুহূর্তের মধ্যেই সব ভেঙে পড়েছিল। শেষমেশ উত্তর দিল্লির মালব্য নগরের শিবালিক কলোনির ওই ঝুপড়ি দোকানেই ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। পরে অবশ্য গৌরবের সঙ্গে সমস্যা মিটমাটও করে নিয়েছিলেন কান্তা। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে গৌরবকে দেওয়া ‘চোর’ তকমাও মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। আর তার পরই সামনে এল কান্তার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন